সালিশে যেতে রাজী না হওয়ায় বৃদ্ধকে পিটিয়ে ‘হত্যার’ অভিযোগ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে

প্রকাশিত: ৪:৪৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩, ২০২৪

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর দশমিনায় সালিশে যেতে রাজী না হওয়ায় এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে ও ডোবায় চুবিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে। আজ রোববার সকাল ১১টায় বহরমপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নেহালগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সহিদুল হাওলাদার দীর্ঘদিন ধরে জমি লিখে দিতে তার বাবা নুরুল ইসলাম হাওলাদারকে চাপ দিচ্ছিলেন। এতে রাজি না হওয়ায় স্থানীয় বিএনপি নেতাদের কাছে অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বহরমপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রকিবুল হাসান সোহাগ, বিএনপি নেতা রহিম বেপারী, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহজাহান মৃধা ও সাধারণ সম্পাদক কাইয়ুম গাজী বাড়ি গিয়ে নুরুল ইসলামকে সালিশে বসার জন্য চাপ দেন। এতে রাজি না হওয়ায় নেতারা উত্তেজিত হয়ে তাকে এলোপাতাড়ি লাথি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। তাদের হাত থেকে বাঁচতে নুরুল ইসলাম পাশের ডোবায় ঝাঁপ দেন। এ সময় কাইয়ুম গাজীও পানিতে নেমে তাকে চেপে ধরেন। এতে নুরুল ইসলামে মৃত্যু হয়।
নুরুল ইসলামের ছোট ভাই রুহুল আমীন হাওলাদার জানান, বিএনপি নেতারা ভাইকে পেটাতে পেটাতে মেরেই ফেলল। ডোবা থেকে তোলার পর সারা দিচ্ছিলেন না। মৃত্যুর বিষয়টি টের পেয়ে নেতারা মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রাহুল বিন হালিম জানান, নুরুল ইসলামকে মৃত অবস্থায় দশমিনা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, তাকে মারধর করা হয়েছিল।
সালিশে উপস্থিত বহরমপুর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ মঞ্জু রাড়ী বলেন, বিএনপি নেতাদের নির্দেশে নুরুল ইসলামকে ডেকে আনতে যাই। তিনি আসবেন না জানালে সোহাগ মেম্বার তাকে ঘর থেকে টেনে বের করে আনেন। এরপর মারধর শুরু করেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের পাওয়া যায়নি। তারা পলাতক। তাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়ে বন্ধ পাওয়া গেছে।