ডেস্ক রিপোর্ট:

আরবের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী, অশ্বারোহী ও বিচারক ছিলেন হজরত আবু দারদা রা.। তার ডাক নাম আবু দারদা। মেয়ের নাম ছিল দারদা। সেই নাম অনুসারেই ইতিহাসে তিনি আবু দারদা হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। তার মূল নাম ছিল আমির। লোকে উয়াইমির বলতো।

মদিনার বিখ্যাত খাযরাজ গোত্রের বালহারিস শাখার সন্তান। রাসূল সা.-এর সমবয়সী বা কিছুদিনের ছোট ছিলেন তিনি।

ইসলাম গ্রহণের আগে তিনি মদিনার একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন। কিন্তু ইসলাম গ্রহণের পর একান্তভাবে আল্লাহ তায়ালার ইবাদতে আত্মনিয়োগ করেন। এ সম্পর্কে তিনি নিজেই বলেছেন—রাসূল সা.-এর নবুয়ত প্রাপ্তির আগে আমি ব্যবসায়ী ছিলাম। এরপর যখন ইসলাম গ্রহণ করলাম, আমি ব্যবসা ও ইবাদতের মধ্যে সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করলাম। কিন্তু সমন্বয় সম্ভব হলো না। তাই ব্যবসা ছেড়ে ইবাদতে আত্ম নিয়োগ করলাম।(তারীখুল ইসলাম, ২/১০৭)

ব্যবসার প্রতি এতোটাই বিতৃষ্ হয়ে উঠেন যে অনেক সময় বলতেন—

এখন যদি মসজিদে নববীর সামনে আমার একটি দোকান থাকে, প্রতিদিন এখানে আমার ৪০ দীনার করে লাভ হয় এবং আমি তা সদকা করে দেই। আর এর কারণে আমার নামাজের জামাতও ছুটে না যায়। তবুও এমন ব্যবসা আমার পছন্দ নয়। লোকেরা এর কারণ, জিজ্ঞেস করলে বলতেন, শেষ বিচার দিবসে কঠিন হিসাব।

রাসূল সা. মদিনায় হিজরতের প্রায় এক বছর পর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। অনেকের মতে তিনি বদর যুদ্ধের পর ইসলাম গ্রহণ করেন। তবে এই এক বছর পেছনে পড়ার কারণ নিয়ে তিনি সারা জীবন অনুশোচনা করেছেন। পরবর্তীকালে প্রায়ই বলতেন, এক মুহূর্তের প্রবৃত্তির দাসত্ব দীর্ঘকালের অনুশোচনার জন্ম দেয়।