সিনিয়র আইনজীবীদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির মতবিনিময়

প্রকাশিত: ৮:৫৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘দীর্ঘমেয়াদি বিচার বিভাগীয় পরিকল্পনা’ করতে সাবেক ও বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক ও বর্তমান সভাপতি-সম্পাদকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহীম, বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি মো.আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট ড. কামাল হোসেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট এম আমীর-উল ইসলাম, সিনিয়র অ্যাডভোকেট রাবেয়া ভূঁইয়া, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ এফ হাসান আরিফ, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল সিনিয়র অ্যাডভোকেট ফিদা এম কামাল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল সিনিয়র অ্যাডভোকেট এসএম মুনীর, শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মেহেদী এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মো.আবদুন নূর দুলাল উপস্থিত ছিলেন।


সভায় প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারব্যবস্থা নিয়ে অনেক অভিযোগ আছে। কিন্তু এসব অভিযোগ নিরসনের জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা প্রয়োজন এবং এসব সমস্যা নিরসনের জন্য কার্যকর মেকানিজম বা পদ্ধতি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন। এ পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে আমরা সেগুলো চিহ্নিত করবো।
সিনিয়র আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনারা সবাই আপনাদের সুচিন্তিত মতামত ও প্রস্তাব দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করবেন। আপনাদের কাছ থেকে মতামত ও প্রস্তাবগুলো দুইভাবে আমাদের কাছে পাঠানো যাবে। প্রথমত, এখানে উপস্থিত যারা কোনো প্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিধিত্ব করছেন তারা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আপনাদের লিখিত প্রস্তাব পাঠাতে পারবেন। দ্বিতীয়ত, যারা এখানে ব্যক্তি হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন তারা তাদের নিজেদের মতামত লিখিতভাবে আমাদের কাছে পাঠাবেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, এভাবে সব অংশীজনের কাছ থেকে আমরা এক এক করে মতামত ও প্রস্তাব সংগ্রহ করব। পরে এসব মতামত ও প্রস্তাব কয়েকটি ধাপে আলোচনা, বিশ্লেষণ ও গবেষণা করে একটি চ‚ড়ান্ত পরিকল্পনা নেওয়া হবে।


একটি সুন্দর, সক্ষম ও সচল বিচার বিভাগ সবার চাওয়া উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের এ পরিকল্পনা নিখুঁত হবে না জানি, কিন্তু পথচলার জন্য পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক। ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্য এ পরিকল্পনা আমরা একটি দিকনির্দেশনা হিসেবে রেখে যাবো। এর অনেক কিছুই তাদের পথ চলতে সহায়ক হবে। আবার সময়, পরিস্থিতি প্রয়োজনের তাগিদে ভবিষ্যতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা এ পরিকল্পনার সঙ্গে প্রয়োজনীয় যোজন-বিয়োজন করে পরিকল্পনাটিকে আরও সময়োপযোগী করতে সক্ষম হবেন। আমি মনে করি, এভাবে আমরা একটি গণমুখী ও জনবান্ধব বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।