সিরিজ জেতায় চোখ শান্তদের

প্রকাশিত: ১:২৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১১, ২০২৪

ক্রীড়া ডেস্ক:

সেই নাসুম আহমেদের হাত ধরেই বিধ্বস্ত নাজমুল হোসেন শান্তরা পেয়েছেন স্বস্তি। ভিসা জটিলতার কারণে দলের সঙ্গে যেতে পারেননি নাসুম ও নাহিদ রানা। তাতে প্রথম ওয়ানডেতে তাদের মাঠে নামা হয়নি। দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে দলে যোগ দিয়ে একাদশে সুযোগ পান নাসুম।
তার হাত ধরেই আফগানিস্তান ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। জয় তুলে নিয়ে সিরিজেও টিকে আছেন লাল- সবুজের প্রতিনিধিরা। আজ বিকাল ৪টায় তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। এই ম্যাচই হবে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ। যেখানে সকলের চাওয়া, দ্বিতীয় ওয়ানডের মতো নৈপুণ্য দেখিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিবে টাইগারবাহিনী।
প্রথম ওয়ানডেতে শোচনীয় হারের পরে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে শনিবার মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। তবে ১৫২ থেকে ১৮৪- এই ৩২ রানের মধ্যে দ্রুত ৪ উইকেট হারানোয় শঙ্কাও তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত নাসুম আহমেদ ও জাকের আলি অনিকদের হাত ধরে শঙ্কা দূর করে বাংলাদেশ। বল হাতে নাসুম তুলে নেন ৪ উইকেট। এখানেই ম্যাচের ব্যবধান তৈরি হয়। অবশ্য এই ম্যাচে ক্রিকেটারদের নিবেদনও প্রশংসার যোগ্য। ফিল্ডিংয়ে কয়েকটি ক্যাচ মিসের ঘটনা বাদ দিলে শতভাগ চেষ্টার প্রমাণ দিয়েছেন টাইগাররা। শূন্যে লাফিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচ নেওয়ার দৃশ্যও ভক্তরা মনে রাখবেন দীর্ঘদিন। ব্যাট হাতে শান্ত কিছুটা মন্থর হলেও তার ৭৬ রানের ইনিংস বেশ চাঙ্গা করেছে লোয়ার অর্ডারের ব্যাটারদের।

জাকের-নাসুমদের বাউন্ডারি ছিল দর্শনীয়। সবমিলিয়ে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ যা করেছে, সেটি সত্যিই গৌরবের। প্রথম ওয়ানডেতে এর ছিটেফোঁটাও পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশের একের পর এক ব্যাটিং ব্যর্থতার প্রসঙ্গ কিছুদিন ধরেই আলোচনার মূল বিষয় হয়ে সামনে এসেছে। সদ্য নিয়োগ পাওয়া সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনও এই বিষয়ে কথা বলেছেন। তার মতে, ‘আসলে সরাসরি তো কিছু বলা যাবে না। এটি তাদের প্রযুক্তিগত সমস্যা, মানসিক সমস্যা নাকি কৌশলগত সমস্যা, সেটি সামনাসামনি কাজ না করলে বোঝা যাবে না। কোচিং স্টাফ যারা রয়েছেন তারা হয়তো ভালো জানে, খেলোয়াড়রা হয়তো ভালো জানেন। সমাধান কীভাবে করা যায় সেটি নিয়ে কাজ করতে হবে। তবে খুব রাতারাতি যে সবকিছু পরিবর্তন হয়ে যাবে, সেটি আশা করাও ঠিক না। কিন্তু তারা যেন মানসিকভাবে আরো আত্মবিশ্বাসী হতে পারে, চিন্তাভাবনা পরিবর্তন করতে পারেন এবং তাদের সামর্থ্য যতটুকু রয়েছে, সেটি যেন তারা পুরোটা দিতে পারে সেসব বিষয়ে লক্ষ্য রাখা উচিত। আমার মনে হয় তারা একটা ভালো পর্যায়ে যাবে।’

সবশেষ ম্যাচে যে দক্ষতা বাংলাদেশ দেখিয়েছে, সেটির ধারাবাহিকতা থাকলে আজকের ম্যাচেও জয় তুলে নেওয়া কঠিন হবে না। অধিনায়ক শান্ত বলেছেন, ‘এই ম্যাচে (দ্বিতীয় ওয়ানডেতে) যে আমরা শতভাগ করতে পেরেছি এমনও না, উন্নতির জায়গা আছে। এই জায়গাগুলো যদি ঠিক করতে পারি তাহলে আরো আরামে জিততে পারব। সামনে বড় বড় ম্যাচে এগুলো আমাদের সাহায্য করবে।’ নিজেকে নিয়ে আরো বেশি প্রত্যাশা করেন শান্ত, সেটিও স্পষ্ট করেছেন তিনি। তার সেই আশা আজ পূরণ হয় কিনা, সেটিই এখন সময়ের অপেক্ষা।