সিলেট প্রতিনিধি:
সিলেট নগরীর বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, জেলরোড, চৌহাট্টাসহ কয়েকটি এলাকায় সবচেয়ে বেশি অস্ত্র প্রদর্শিত হয়েছে। এসব আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে স্নাইপার, পিস্তল, দু’নলা বন্দুক, কাটা রাইফেল ব্যবহার করা হয়। এসব অস্ত্রের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। স্নাইপার অস্ত্র হাতে ছিলেন রুহুল আমীন শিপলু নামের এক ব্যক্তি। তিনি যুক্তরাজ্য যুবলীগের নেতা বলে জানা গেছে। প্রথমে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক আন্দোলন শুরু হওয়ার কারণে শাবি শিক্ষার্থীদের ওপর ধারালো অস্ত্রের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহৃত হয়। পরে আন্দোলনের মুখে ছাত্রলীগ কর্মীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে গেলে শাহপরান হলের সি ব্লকের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অমিত শাহ’র ৪২৩ নম্বর রুম থেকে দুটি পিস্তল সাধারণ শিক্ষার্থীরাই খুঁজে বের করে। পরে র্যাবের অভিযানে অমিত শাহ গ্রেপ্তার হয়েছে। ২রা আগস্ট থেকে শাবি ফটক ও মদিনা মার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হলে সিলেটের যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ক্যাডাররা প্রকাশ্য অস্ত্র প্রদর্শন শুরু করে। মদিনা মার্কেট থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা পর্যন্ত নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খান, তার সশস্ত্র ক্যাডার আজহার উদ্দিন সুমন, পাঙাশ ও তুহিনের নেতৃত্বে নির্বিচারে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এদিন সুবিদবাজার এলাকার বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হান্নান ওরফে মুরগি হান্নানের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র ক্যাডাররা মাঠে নেমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গুলি ছুড়ে।