সিলেটে নগরীতে ছিনতাইয়ের সময় ছুরিকাঘাতে সবজি ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়া ফুটেজের সূত্র ধরে ১২ ঘণ্টার মধ্যেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন সিলেট নগর পুলিশের কমিশনার মো. ইলিয়াছ শরীফ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- রাহাত রাব্বি (২০), সৌরভ দাস (১৯) ও আতিকুর রহমান (১৯)। তারা নগরের শিবগঞ্জ ও টিলাগড় এলাকায় বসবাস করলেও তাদের মূল বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলায়।

বৃহস্পতিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার ইলিয়াছ জানান, নিহত ব্যবসায়ী গোবিন্দ দাস সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা বড়গাঁও গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নগরীর আখালিয়া নতুন বাজার এলাকায় পরিবারসহ ভাড়া থাকতেন।

বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সবজি কিনতে সুবহানীঘাট কাঁচাবাজারে যাওয়ার পথে নগরীর ধোপাদীঘিরপাড়ের একটি গলিতে গোবিন্দকে ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার পরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায় ছিনতাইয়ে অংশ নেন পাঁচজন।

“তাদের মধ্যে তিনজন সরাসরি পথরোধ করে ছুরিকাঘাত করেন এবং বাকি দুজন সড়কে পাহারা দিচ্ছিলেন। এ সময় গোবিন্দ দাসের সঙ্গে থাকা আড়ত থেকে সবজি কেনার সাত হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান ছিনতাইকারীরা।”

কমিশনার মো. ইলিয়াছ শরীফ বলেন, “গ্রেপ্তাররা মূলত ছিনতাই করার উদ্দেশ্যেই ছুরিকাঘাত করেছিলেন।

“পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সৌরভকে টিলা গড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বিকাল ৪ টার দিকে অন্য দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তারা প্রাথমিকভাবে ছিনতাই ও ছুরিকাঘাতের কথা স্বীকার করেছেন। ”

এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ৪ হাজার ৩০০ টাকা ও একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যদেরও গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সাদেক কাউসার দস্তগীর, সিলেট কোতোয়ালি থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. সামছুদ্দিন ছালেহ আহমদ চৌধুরী, ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ প্রমুখ।