চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:
চুয়াডাঙ্গার বাড়াদি সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। পরে বিএসএফ সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কৃষ্ণনগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। নিহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের ব্যাকপাড়ার শরিয়ত উল্লাহ ছেলে খাজা মইন উদ্দিন (৪৩) ও একই পাড়ার হায়দার আলীর ছেলে সাজেদুর রহমান (২৬)।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে চুয়াডাঙ্গার বাড়াদি সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানার গোবিন্দপুর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর বিএসএফ সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কৃষ্ণনগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় রোববার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে ক্যাম্প কমান্ডার পর্যায়ে বাড়াদি সীমান্তের শূন্য রেখায় পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম জানান, শনিবার রাতের যে কোন সময় খাজা মইন উদ্দিন ও সাজেদুর রহমান ভারতে প্রবেশ করেন গরু আনতে। এ সময় ভারতের গোবিন্দপুর বিএসএফ ক্যাম্পের টহল দল তাদের ওপর গুলি চালালে ঘটনাস্থলে দুজনই নিহত হন। রোববার সকালে বিষয়টি বিজিবির মাধ্যমে নিহতের স্বাজনরা জানতে পারেন।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি সূত্র জানায় জানায়, অবৈধভাবে দুজন ভারতে গেলে বিএসএফের গুলিতে তারা মারা যায়। তাদের লাশ বিএসএফ নিয়ে যায়। এ ঘটনায় রোববার দুপুরে সীমান্তের শূন্য রেখায় উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনির মধ্য কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পাতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পক্ষে দর্শনা ক্যাম্প কামান্ডার সুবেদার আব্দুল জলিল ও ভারতের পক্ষে গোবিন্দপুর বিএসএফের ইন্সপেক্টর দীনেশ কুমার।
বিজিবি আরও জানায়, বিএসএফ পতাকা বৈঠকে জানায় তারা অবৈধ ভাবে সীমান্তের তার কাটা কেটে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। এসময় তারা বিএসএফের উপর চড়াও হয়। প্রথমে বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরে তাদের উপর গুলি চালায়।
নিহতের স্বাজনরা বলেন, কারও পাল্লায় পড়ে তারা ভারতে গেছে মালামাল আনতে। তারা দিনমজুরের কাজ করতেন। আমরা তাদের লাশ ফেরত চাই। তাদের যেন গ্রামে দাফন করতে পারি।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিরি উপ-অধিনায়ক মেজর আশিফ আহমেদ বলেন, পতাকা বৈঠক হয়েছে। লাশ ফেরতের বিষয়টি আমরা তাদের বলেছি।