সীমান্তে হত্যায় নতজানু পররাষ্ট্রনীতি দায়ী: ডা. ইরান

প্রকাশিত: ২:৫২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবি সদস্য হত্যাকে বিছিন্ন ঘটনা উল্লেখ করায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, সীমান্তে বিএসএফ নির্বিচারে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা বন্ধে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা রহস্যজনক। ভারত তোষণ ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সরকার প্রতিবাদ করতেও পারছে না। বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচার করতে পারলে বিজিবি সদস্যকে প্রাণ দিতে হতো না।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বিজিবি সদস্য হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকার ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে বিজিবি হত্যার প্রতিবাদ করতে ব্যর্থ হয়ে বরং একজন প্রতিমন্ত্রীকে ভারতীয় দূতাবাসে পাঠিয়ে কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠা করেছে। ফেলানীকে হত্যা করে বিএসএফ কাঁর্টাতারে ঝুলিয়ে রেখে যে নির্মম বর্বতা ভারত স্থাপন করেছে তা বিশ্বে নজিরবিহীন সীমান্ত আগ্রাসনের চরম দৃষ্টান্ত।

বিজিবি সদস্য হত্যার মধ্য দিয়ে আবারো প্রমাণিত হলো, বিএসএফ সীমান্তে নির্বিচারে নিরীহ বাংলাদেশি নাগরিকদের পাখির মতো হত্যার মহোৎসব চালিয়ে আসছে। ভারত আন্তর্জাতিক রীতি-নীতি ও কূটনৈতিক শিষ্টাচার মানছে না, তাই সীমান্ত হত্যা বন্ধে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ একান্ত প্রয়োজন।

লেবার পার্টির ঢাকা মহানগর সভাপতি এস এম ইউসুফের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান হিন্দুরত্ম রামকৃষ্ণ সাহা, অ্যাডভোকেট জোহরা খাতুন, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম-মহাসচিব আবদুর রহমান খোকন, মুফতি তরিকুল ইসলাম সাদী, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন খান, মহিলা সম্পাদিকা নাসিমা নাজনীন সরকার, মহানগর নেতা এনামুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদশা মিয়া, রবিউল ইসলাম, ছাত্রমিশন সভাপতি সৈয়দ মো. মিলন ও যুগ্ম সম্পাদক মো. লিটন খান প্রমুখ।