‘সুদানে বিদ্রোহীদের হামলায় চার শতাধিক মানুষ নিহত’

প্রকাশিত: ১২:৪৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৬, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:

 

উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানের দারফুর অঞ্চলে আধাসামরিক গোষ্ঠী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর সাম্প্রতিক হামলায় ৪০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। খবর বিবিসি।

সংস্থাটি একে ‘বিশ্বস্ত সূত্র’ থেকে পাওয়া তথ্য হিসেবে উল্লেখ করেছে। গত সপ্তাহে দারফুরের এল-ফাশের শহরের আশপাশে থাকা শরণার্থী শিবিরগুলোর ওপর ভয়াবহ স্থল ও বিমান হামলা চালায় আরএসএফ। তাদের লক্ষ্য ছিল এল-ফাশের দখল নেওয়া। মূলত এই শহরটি এখনো সুদানের সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা দারফুর অঞ্চলের শেষ বড় শহর। ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে ক্ষমতা দখলের জন্য ভয়াবহ লড়াই চলছে। এই সংঘাত বিশ্বে সবচেয়ে বড় মানবিক সংকটের জন্ম দিয়েছে, ঘরছাড়া করেছে কোটি কোটি মানুষকে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, তারা বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ১৪৮টি মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করতে পেরেছে, তবে প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়েও অনেক বেশি হতে পারে। জাতিসংঘের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি জানান, তাদের তথ্য যাচাই প্রক্রিয়া এখনো চলছে এবং এ সংখ্যার মধ্যে রবিবারের সহিংসতার তথ্য অন্তর্ভুক্ত নয়। তিনি বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যমতে নিহতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে।’ এর মধ্যে অন্তত ৯ জন ত্রাণকর্মী রয়েছেন বলেও জাতিসংঘ জানিয়েছে।

এল-ফাশের আশপাশে অবস্থিত জামজাম ও আবু শৌক শরণার্থী শিবিরগুলোতে ৭ লাখেরও বেশি মানুষ ঠাঁই নিয়েছেন, যাদের অনেকেই দুর্ভিক্ষের মতো চরম সংকটে দিন কাটাচ্ছেন। শনিবার এক বিবৃতিতে আরএসএফ দাবি করে, তারা বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালায়নি, বরং জামজামে ঘটে যাওয়া সহিংসতার দৃশ্যগুলো সাজানো হয়েছে তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য। তবে পরদিন আরএসএফই আবার ঘোষণা করে তারা ‘সফলভাবে শিবিরটি মুক্ত করেছে’ এবং দাবি করে, সেনাবাহিনী জামজাম শিবিরকে সেনাঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছিল এবং সাধারণ মানুষদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছিল।

এল-ফাশের শহরটি দারফুরে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা শেষ প্রধান শহর। আরএসএফ প্রায় এক বছর ধরে এই শহরটিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আগামী মঙ্গলবার গৃহযুদ্ধটি তৃতীয় বছরে পা দিচ্ছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক সব পক্ষকে ‘অবশ্যই বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করে সংঘাত সমাধানে এগিয়ে আসার’ আহ্বান জানিয়েছেন।ডেস্ক রিপোর্ট:

‘সুদানে বিদ্রোহীদের হামলায় চার শতাধিক মানুষ নিহত’

উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানের দারফুর অঞ্চলে আধাসামরিক গোষ্ঠী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর সাম্প্রতিক হামলায় ৪০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। খবর বিবিসি।

সংস্থাটি একে ‘বিশ্বস্ত সূত্র’ থেকে পাওয়া তথ্য হিসেবে উল্লেখ করেছে। গত সপ্তাহে দারফুরের এল-ফাশের শহরের আশপাশে থাকা শরণার্থী শিবিরগুলোর ওপর ভয়াবহ স্থল ও বিমান হামলা চালায় আরএসএফ। তাদের লক্ষ্য ছিল এল-ফাশের দখল নেওয়া। মূলত এই শহরটি এখনো সুদানের সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা দারফুর অঞ্চলের শেষ বড় শহর। ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে ক্ষমতা দখলের জন্য ভয়াবহ লড়াই চলছে। এই সংঘাত বিশ্বে সবচেয়ে বড় মানবিক সংকটের জন্ম দিয়েছে, ঘরছাড়া করেছে কোটি কোটি মানুষকে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, তারা বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ১৪৮টি মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করতে পেরেছে, তবে প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়েও অনেক বেশি হতে পারে। জাতিসংঘের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি জানান, তাদের তথ্য যাচাই প্রক্রিয়া এখনো চলছে এবং এ সংখ্যার মধ্যে রবিবারের সহিংসতার তথ্য অন্তর্ভুক্ত নয়। তিনি বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যমতে নিহতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে।’ এর মধ্যে অন্তত ৯ জন ত্রাণকর্মী রয়েছেন বলেও জাতিসংঘ জানিয়েছে।

এল-ফাশের আশপাশে অবস্থিত জামজাম ও আবু শৌক শরণার্থী শিবিরগুলোতে ৭ লাখেরও বেশি মানুষ ঠাঁই নিয়েছেন, যাদের অনেকেই দুর্ভিক্ষের মতো চরম সংকটে দিন কাটাচ্ছেন। শনিবার এক বিবৃতিতে আরএসএফ দাবি করে, তারা বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালায়নি, বরং জামজামে ঘটে যাওয়া সহিংসতার দৃশ্যগুলো সাজানো হয়েছে তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য। তবে পরদিন আরএসএফই আবার ঘোষণা করে তারা ‘সফলভাবে শিবিরটি মুক্ত করেছে’ এবং দাবি করে, সেনাবাহিনী জামজাম শিবিরকে সেনাঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছিল এবং সাধারণ মানুষদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছিল।

এল-ফাশের শহরটি দারফুরে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা শেষ প্রধান শহর। আরএসএফ প্রায় এক বছর ধরে এই শহরটিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আগামী মঙ্গলবার গৃহযুদ্ধটি তৃতীয় বছরে পা দিচ্ছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক সব পক্ষকে ‘অবশ্যই বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করে সংঘাত সমাধানে এগিয়ে আসার’ আহ্বান জানিয়েছেন।