সুবর্ণার প্রেমের টানে পটুয়াখালীতে শ্রীলঙ্কান যুবক

প্রকাশিত: ৩:০৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১০, ২০২৪

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

বাংলাদেশি তরুণী সুবর্ণা আক্তারের প্রেমের টানে পটুয়াখালীতে ছুটে এসেছেন শ্রীলঙ্কান যুবক দিলশান মাদুরাঙ্গা। গত বুধবার (৬ নভেম্বর) তিনি পটুয়াখালীর দশমিনায় আসেন এবং বৃহস্পতিবার সামাজিক ও ধর্মীয় রীতি মেনে পরিবারিক সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়।

বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলার মানুষ এই নব দম্পতিকে দেখতে সুবর্ণার বাড়িতে ভিড় করতে থাকে।
সুবর্ণা পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের মধ্য গছানী গ্রামের বাসিন্দা নিজাম উদ্দিন সিকদারের মেয়ে এবং দিলশান মাদুরাঙ্গা শ্রীলঙ্কার কুরুনাগাল জেলার দুমমলচুরিয়া থানার ন্যাবটাকা উডুবাগদা গ্রামের লাকমালের ছেলে।

পাঁচ বছর আগে কাজের সন্ধানে সুবর্ণা জর্ডানে যান। সেখানে গিয়ে একটি গার্মেন্টসে পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। একই পোশাক কারখানায় সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করতেন দিলশান। কাজের সুবাদে পরিচয় হয় তাদের, পরে তাদের মধ্যে দীর্ঘ পাঁচ বছর প্রেমের সম্পর্ক চলে।
গত এক মাস আগে নিজ গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন সুবর্ণা। দেশে ফিরলেও দিলশানের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। গত ৬ নভেম্বর সকালে দিলশান পটুয়াখালী আসেন। সেখানে উভয়ের সম্মতিতে ৭ নভেম্বর পটুয়াখালী নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহ হয়। একই দিনে সুবর্ণার গ্রামের বাড়ি বাশবাড়িয়া ইউনিয়নের মধ্য বাঁশবাড়িয়া ইসলামি শরিয়াহ মতাবেক বিবাহ সম্পন্ন হয়।

শ্রীলঙ্কান পাত্র দিলশান বলেন, আমরা দুইজন একই গার্মেন্টসে কাজ করতাম। সেখানেই আমাদের পরিচয় হয়। গত পাঁচ বছরের সম্পর্ক, আমাদের পরিবার আমাদের সম্পর্কের বিষয়ে জানেন এবং তাদের সম্মতিতে বিবাহ করেছি।

সুবর্ণার বাবা নিজাম উদ্দিন সিকদার বলেন, আমার মেয়ের সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিয়েছি। এখানে আমার কিছুই বলার নাই। তবে দোয়া করি ওরা যাতে ভালো থাকে।

এ বিষয়ে দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল আলীম বলেন, আমরা শুনেছি শ্রীলঙ্কার এক নাগরিক প্রেমজনিত কারণে দশমিনায় এসেছেন। ঘটনা জানার পরে এস আই মাসুম বিল্লাহকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। ওখানে যা ঘটেছে সব আইনানুগ ভাবেই হয়েছে তবুও ওই যুবকের তথ্য দশমিনা থানায় সংরক্ষন করে রাখা হয়েছে।