সুষ্ঠু ভোট করার ক্ষমতা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের আছে: ভারতের সাবেক সিইসি

প্রকাশিত: ৪:৩৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৯, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এসওয়াই কোরাইশি বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট করার জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সব ক্ষমতা রয়েছে।
আজ রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে ভারত, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, নেপালের নির্বাচন কমিশনার এবং ইলেকশন মনিটরিং ফোরামসহ ৯ জন প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে সিইসিসহ ৪ জন নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ড. এসওয়াই কোরাইশি বলেন, একটি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সমস্ত ক্ষমতা রয়েছে। তাদের ওপর কেন বিশ্বাস স্থাপন করা যাবে না। তার কোনো কারণ আমি দেখি না।
বাংলাদেশের ইসির ক্ষমতা আছে। তারপরও বিগত নির্বাচনগুলোর মধ্যে কয়েকটি নির্বাচন একপক্ষীয় ছিল। এ কারণে তাদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এক্ষেত্রে ইসির কোনো দুর্বলতা রয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমি জানি না। এটা তোমাদের (বাংলাদেশের) ইসি ব্যাখ্যা দিতে পারবে। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, ভারতের নির্বাচন কমিশনের যে সমস্ত ক্ষমতা আছে, সেই সমস্ত ক্ষমতা তোমাদের নির্বাচন কমিশনেরও আছে।
ভারতের নির্বাচন কমিশনের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কোরাইশি বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে ভারতের নির্বাচন কমিশন দৃশ্যত অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের মতো দায়িত্ব পালন করে। ভারতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর কমিশন সর্বময় ক্ষমতা পায়। কোনো প্রধানমন্ত্রী থাকে না, মুখ্যমন্ত্রী থাকে না। ইসির অনুমতি ছাড়া কেউ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, ভারতের ইসি ক্ষমতাসীন সরকারকে অকার্যকর করে ফেলে। তারা নতুন কোনো স্কিম নিতে পারে না। কাউকে বদলি করতে পারে না। এতে নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা বাড়ে।

ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের পরিচালক আব্দুল জব্বার খান বলেন, তারা যেটি জানিয়েছে সেটি হচ্ছে, বাংলাদেশ সরকার আগামী নির্বাচনটি যেন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়। প্রশ্নবিদ্ধ কোনো নির্বাচন না হয়, সেটির ব্যাপারে তাদের বারবার আন্তরিকতা প্রকাশ করেছে এবং এটি যেন অবশ্যই শান্তিপূর্ণ হয়। সে ব্যাপারে যত ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন সে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করার মনোভাব প্রকাশ করেছে সরকার।

ভারতের সাবেক সিইসি আমাদের জানিয়েছেন, ভারতে কিন্তু নির্বাচন কমিশন নির্বাচনকালীন সময়ে অনেকটা কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টের মতো করে কাজ করে। সেগুলো আমরা তাদের কাছে থেকে জানতে পেরেছি। ইলেকশন মনিটরিং ফোরামও মনে করে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন অবশ্যই অংশগ্রহণমূলক করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। এখানে সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে। দায়িত্ব সরকারেরই প্রথম, কাজেই সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ জানাতে হবে এবং সেই সংলাপের মাধ্যমে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে ইনক্লুড করে কীভাবে একটি সুন্দর অংশগ্রহণমূলক সেইজন্য কিন্তু ব্যবস্থা নিতে হবে।