সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পাশাপাশি উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে সিরাজগঞ্জে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঘনকুয়াশার কারণে কৃষকেরা মাঠে নামতে পারছে না। ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে ঠান্ডাজনিত রোগব্যাধি।
সবশেষ শনিবার (৪ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কিছুটা কমলেও সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুযাশার কারণে মহাসড়ক এবং আঞ্চলিক সড়কে দিনেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। এই পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন তাড়াশ কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস।
তাড়াশ কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জাহেদুল ইসলাম জানান, বাতাসের গতিবেগ বাড়ার কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। এই বৈরি আবহাওয়া আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। দুই দিনেই তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস নেমে গেছে। সিরাজগঞ্জের চরাঞ্চল দিনভর কুয়াশা ঢাকা থাকছে বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।
এদিকে শীতের তীব্রতায় হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। শিশু ও বয়স্ক মানুষ সর্দি, জ্বরসহ বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতলে চিকিৎসা নিতে আসছেন বলে জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বশীলরা।
একইভাবে বিপাকে পড়েছেন সিরাজগঞ্জের শ্রমজীবী মানুষগুলো। কৃষি শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, ফুটপাতের দোকানিরা স্বাভাবিকভাবে তাদের কাজকর্ম করতে পারছে না। এতে নিত্যদিনের কাজকর্মে হয়েছে ছন্দপতন। তীব্র ঠান্ডায় কৃষি কাজও ব্যাহত হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আ. জা. মু. আহসান শহীদ সরকার বলেন, প্রচন্ড শীতে কৃষকেরা মাঠে কাজ করতে পারছেন না। এতে কৃষি কাজ ব্যাহত হচ্ছে।