সেই ‘ছোট সাজ্জাদ’ ফের ৩ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত: ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৮, ২০২৫

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

 

চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘ছোট সাজ্জাদ’ ওরফে বুড়ির নাতিকে জেলার হাটহাজারী থানার একটি হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহারের আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে কড়া পুলিশ পাহারায় আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে তোলা হয়।

হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. তারেক আজিজ জানান, ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট অক্সিজেন মোড় এলাকায় ডাবল মার্ডারের ঘটনায় হাটহাজারি থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। ওই মামলায় আসামি সাজ্জাদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে ১৩ এপ্রিল বাকলিয়া থানার জোড়া খুনের মামলায় ‘ছোট সাজ্জাদে’র ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এর আগে গত ৫ এপ্রিল তাহসিন হত্যা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। চান্দগাও অদুরপাড়ায় গত বছরের ২১ অক্টোবর বিকেলে একদল যুবক প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে তাহসিনকে। এলাকার আধিপত্য নিয়ে দুই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী-সারোয়ার হোসেন ওরফে বাবলা ও ছোট সাজ্জাদের বিরোধে খুন হন তাহসিন। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া খুনের মামলার আসামি সাজ্জাদ।

সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুরের মো. জামালের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির ১৫টিরও বেশি মামলা রয়েছে। ছোট সাজ্জাদ ও আরেক সন্ত্রাসী সারোয়ার হোসেন বাবলার মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ব্যবসা ও রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত বছরের ২৯ আগস্ট রাতে কুয়াইশ-অক্সিজেন সড়কে মো. আনিস ও মাসুদ কায়ছার নামে দুই জন খুন হন। তারা চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম কুয়াইশ এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় মাসুদ কায়ছারের ছোট ভাই মো. আরিফ বাদী হয়ে সাজ্জাদসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন।

২০২৪ সালের ৪ ডিসেম্বর নগরীর অক্সিজেন এলাকায় ছোট সাজ্জাদকে ধরতে অভিযানে যায় বায়েজিদ বোস্তামি থানা পুলিশ। ওই সময় গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালিয়ে যান তিনি। এতে পুলিশসহ পাঁচজন আহত হন। পরে একই থানার ওসিকে ফেসবুক লাইভে এসে পেটানোর হুমকি দেন তিনি। এরপর চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি তাকে ধরিয়ে দিতে পুরষ্কার ঘোষণা করেন নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ।

এরপর আত্মগোপনে চলে যায় সন্ত্রাসী সাজ্জাদ। গত ১৫ মার্চ দিবাগত রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি থেকে সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তারের দুই সপ্তাহের মাথায় ২৯ মার্চ দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড এলাকায় প্রাইভেটকারে দুর্বৃত্তের গুলিতে দুজন নিহত হন। জোড়া খুনের ঘটনায় ১ এপ্রিল বাকলিয়া থানায় নিহত মোহাম্মদ মানিকের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী শারমিনসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।