সেতু ভবনে হামলা: আন্দালিব রহমান পার্থের ৫ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত: ৩:২৯ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বনানীর সেতু ভবনে হামলার ঘটনায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সভাপতি (বিজেপি) ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করে তার বিরুদ্ধে দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বুধবার রাতে রাজধানীর বারিধারা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই প্রতিদিনের ন্যায় সেতু ভবনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারি যথারীতি অফিসের কার্যক্রম করতে থাকে। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অজ্ঞাতনামা ২৫০ থেকে ৩শ’ জন আসামি আইন শৃংঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠি সোঠা, ইটপাটকেল নিয়ে সেতু অফিসের সামনে এসে জমায়েত হয় এবং সরকার বিরোধী বিভিন্ন ¯ে¬াগান দিতে থাকে। তারা সেতু ভবনের সিনিয়র সচিবসহ কর্মকর্তাদের খোঁজাখুঁজি করে হুমকি প্রদর্শন ও ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করে। এ সময় সেতু ভবনকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। একপর্যায়ে তারা এ অফিসের মূল ফটক ভেঙ্গে ভবনের ভিতরে প্রবেশ করে নিচ তলায় রক্ষিত জীপ, কার, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, পিকআপ, মোটরসাইকেল, নিরাপত্তা ভবন, সিসি ক্যামেরা, পার্কিং শেড, ক্যান্টিন, গাড়ী চালকদের কক্ষ, আনসার শেড, মুজিব কর্ণার, জেনারেটরস কক্ষসহ মূল ভবন ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠি সোঠা, ইটপাটকেল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে সেতু ভবনের সিনিয়র সচিব, অন্যান্য অফিস স্টাফ ও নিরাপত্তা কর্মীদের এলোপাথাড়ি মারধর করে। এতে অনেকে আহত হন।
মামলার এজহার থেকে জানা যায়, পরবর্তীতে আসামিরা ভবনের ভিতরে প্রবেশ করে নীচ তলা হতে ১১ তলা পর্যন্ত অফিসে রক্ষিত কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ফাইল কেবিনেট, এসি, ফ্যান, পানির ফিল্টার, চেয়ার, টেবিল, আসবাবপত্রসহ অন্যান্য সরকারি ও ব্যক্তিগত মালামাল সামগ্রী চুরি করে এবং প্রত্যেক ফ্লোরে অগ্নিসংযোগ করে।
আসামিদের ধ্বংসাত্বক কর্মকান্ড ও অগ্নিসংযোগে সেতু ভবনের নিচ তলা হতে ১২ তলা পর্যন্ত ফ্লোরে রক্ষিত সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ, পদ্মা সেতু প্রকল্প, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বহুলেন সড়ক টানেল – প্রকল্প, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প, সেতু বিভাগের আওতাধীন সকল প্রকল্পের প্রধান কার্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দলিলাদি, এফডিআর ইনস্ট্রুমেন্ট, টেন্ডার সিকিউরিটি ডকুমেন্টস, ইন্টারনেট সার্ভার, শতাধিক কম্পিউটার ও কম্পিউটার সামগ্রী, আসবাবপত্র, কম্পিউটার, জেনারেটর, ফায়ার এক্সটিংগুইশারসহ যাবতীয় নথিপত্র এবং সেতু ভবনের পার্কিংয়ে থাকা ৩২টি জীপ গাড়ী, ৯টি পিকআপ, ৭টি মাইক্রোবাস, ১টি মিনিবাস, ৫টি মোটরসাইকেল, ১টি এ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসব যানবাহন ও মালামাল এবং আসবাবপত্র ভস্মীভূত হয়ে আনুমানিক তিনশত কোটি টাকার ক্ষতি সাধন হয়।
এ ঘটনায় সেতু ভবনের কেয়ার টেকার রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে বনানী থানায় একটি মামলা করেন।