সেনা কর্মকর্তার মাকে হত্যায় দারোয়ানের মৃত্যুদণ্ড বহাল, ভাড়াটিয়া নারীর খালাস

প্রকাশিত: ৮:০২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর উত্তরায় সেনা কর্মকর্তার মাকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় বাসার দারোয়ান গোলাম নবী ওরফে নবীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। মামলার অন্য আসামি বাসার ভাড়াটিয়া নারী মোছা. লাইলী ওরফে লাবণ্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন আদালত। বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১৯ সেপ্টেম্বর এ রায় দেন। আদালতে ওইদিন আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হাবিবুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল আজিজ মিন্টু। আজ রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
উত্তরায় সেনা কর্মকর্তার মাকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর বাসার দারোয়ান গোলাম নবী ওরফে নবীকে ফাঁসির দণ্ড দেন বিচারিক আদালত। অন্য আসামি লাইলীকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয়। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এ রায় দেন। রায়ের পরে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স আসে উচ্চ আদালতে। একই সঙ্গে রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আসামিরা। ডেথ রেফারেন্স ও আসামির করা আপিলের শুনানি নিয়ে এ রায় দেন আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৪ জুন উত্তরায় নিজ বাসায় মনোয়ারা বেগম নামের ওই বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। তিনি উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরের একটি বাসায় একা থাকতেন। তিনি সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল খালিদ বিন ইউসুফের মা। এ খুনের রহস্য উদঘাটন নিয়ে তখন এক বিফ্রিংয়ে র‌্যাব জানায়, উত্তরায় সেনা কর্মকর্তার মা খুন হওয়ার ঘটনায় গোলাম নবী ওরফে নবী (২৫) ও মোছা. লাইলী ওরফে লাবণ্য নামের দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
র‌্যাব-১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুহিন মো. মাসুদের ভাষ্য, ওই বাসায় স্বর্ণালংকার ও অর্থ আত্মসাতের জন্য এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। ওই বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে ওঠেন লাবণ্য। পরে তিনি মনোয়ারা বেগমের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন এবং কৌশলে বিভিন্ন বিষয় জেনে নেন। তার সুপারিশে গোলাম নবী ওই বাসায় দারোয়ানের চাকরি পান। হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন আগে নবী চাকরি ছেড়ে চলে যান। পরে লাইলীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে ওই বছরের ৪ জুন হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করা হয়। মায়ের হত্যাকাণ্ডের পরদিন ওই বছরের ৫ জুন মামলা করেন সেনা কর্মকর্তা খালিদ বিন ইউসুফ।