সেহেরির খাবারের তালিকা কেমন হবে

প্রকাশিত: ২:৫৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩, ২০২৫

নিজেস্ব প্রতিবেদক:

 

রোজার গুরুত্বপূর্ণ দু’টি অংশ হলো সেহরি ও ইফতার। সেহেরির খাবার রোজাদারদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সারা দিনের প্রয়োজনীয় শক্তির জন্য সেহেরির খাবারের ওপর নির্ভর করতে হয়। তাই সেহেরির খাবার বাছাইয়ে যথেষ্ট সতর্ক থাকা উচিত।

একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে, আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে সেহেরির যে খাদ্যাভ্যাস, সেটা পুরোপুরি স্বাস্থ্যসম্মত নয়। বেশিরভাগই মানুষ সেহেরির খাবারের তালিকায় উচ্চ চর্বিসমৃদ্ধ ও তেলে ভাজা খাবার বেঁছে নেন।

এগুলো খেয়ে রোজা রাখলে শরীর এমনিতেই ক্লান্ত ও অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই রোজায় সুস্থ থাকতে ইফতারের পাশাপাশি সেহেরি খাবারের তালিকায় বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি।

১.তরল খাবার: সেহরির খাবারে স্বাদের চেয়ে খাদ্যগুণকে বেশি গুরুত্ব দিন। সেহরিতে বেশি করে তরল খাবার খান। যেমন: লেবু, কমলা, শসা, তরমুজ, ডাবের পানি ইত্যাদি। রোজার দিনে শরীরের পানিশূন্যতা কমাতে পর্যাপ্ত পানি ও জলীয় খাবার খাওয়া জরুরি।

২. জটিল কার্বোহাইড্রেট-সমৃদ্ধ খাবার : জটিল কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার। লাল চালের ভাত বা ব্রাউন রাইস, ওটস, লাল আটার রুটি, মুসুর বা মুগ ডাল। এ খাবারগুলো ধীরে ধীরে হজম হয়, ফলে দীর্ঘক্ষণ শক্তি জোগায় এবং ক্ষুধার অনুভূতি কমায়।

৩. প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার: প্রোটিন শরীরের টিস্যু মেরামত করে এবং শক্তি বজায় রাখে।

যা খেতে পারেন: সিদ্ধ ডিম, অমলেট, মুরগির মাংস , দই, ছোলা, বাদাম ও বীজ (বাদাম, চিয়া সিড, তোকমা ইত্যাদি) ।

৪. আঁশযুক্ত খাবার: আঁশযুক্ত খাবার যেমন: সবুজ শাক- সবজি, ফলমূল, ছোলার ডাল ও মুগ ডাল। এ খাবারগুলো হজম প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে করে, ফলে ক্ষুধা দেরিতে লাগে।

সেহরিতে যা খাবেন না:

*এ সময় শুকনো ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খাবেন না। এ ধরনের খাবার শরীরকে পানিশূন্য করে।

* সেহরির সময় চা বা কফি পান থেকে বিরত থাকুন। এগুলো পানিশূন্যতা বাড়ায়।

* উচ্চ চর্বিসমৃদ্ধ এবং তেলে ভাজা খাবার সেহেরিতে খাবেন না। এছাড়াও, পাকস্থলীতে অস্বস্তি করে এমন খাবার এড়িয়ে চলুন।

* এ সময় লবণাক্ত খাবার পরিহার করুন। যেমন: আচার, বেশি মসলাজাতীয় খাবার, প্রকিয়াজাত খাবার, ভারি ডেজার্ট ও কোমল পানীয় ইত্যাদি।

সেহেরিতে সঠিক খাবার খেলে রোজা রাখা অনেকটা সহজ হয় এবং শরীর সুস্থ থাকে। তাই সেহেরিতে সঠিক খাবার বেঁছে নেওয়া জরুরি।