সোনায় বিনিয়োগ, ভবিষ্যতের সঞ্চয়’ প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হচ্ছে বাজুস ফেয়ার
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
সেলিনা আক্তার
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি তৃতীয়বারের মতো শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘বাজুস ফেয়ার-২০২৪’। এবারের প্রতিপাদ্য ‘সোনায় বিনিয়োগ, ভবিষ্যতের সঞ্চয়’। রাজধানীর তিনশ ফিট এলাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি) হল-৪, ‘নবরাত্রি’তে এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে।বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাজুসের মুখপাত্র, বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সভাপতি ডা. দিলিপ কুমার রায়, বাজুসের সহসভাপতি মো. রিপনুল হাসান ও মাসুদুর রহমান, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন, উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, কোষাধ্যক্ষ ও স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ফেয়ার অ্যান্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান উত্তম বণিক, ভাইস চেয়ারম্যান ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নারায়ণ চন্দ্র দে, সদস্য মো. লিটন হাওলাদার, মনির হোসেন, আজাদ হোসেনসহ কমিটির অন্য সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বাজুস ফেয়ার ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের জন্য উম্মুক্ত থাকবে। বাজুস ফেয়ারে প্রবেশ টিকিটের মূল্য জনপ্রতি ১০০ টাকা। ৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের টিকিট লাগবে না। এছাড়া জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণে বিশেষ অফার দিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাজুস ফেয়ার-২০২৪ দেশীয় জুয়েলারি শিল্পকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি বিশ্ববাজারে একটি নতুন অবস্থান তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে বাজুস আশা করছে। দেশের স্বর্ণ শিল্পীদের হাতে গড়া নিত্য নতুন আধুনিক ডিজাইনের অলংকারের পরিচিতি বাড়বে।
সোনায় বিনিয়োগ, ভবিষ্যতের সঞ্চয়’ শীর্ষক মেলার পাশাপাশি একই স্থানে ‘বাজুস জুয়েলারি সামিট ২০২৪’ এর আয়োজন করা হয়েছে। এই সম্মেলনে ১০ সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আগে ঘোষিত ‘বাজুস মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’ বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হবে। একইসঙ্গে ‘বাজুস ফেয়ার-২০২৪’ এ অংশগ্রহণকারী জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হবে।এবার বাজুসের মেলায় ৯টি প্যাভিলিয়ন, ১৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ১৫টি স্টলে দেশের ৪১টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে।
বাজুস ফেয়ার-২০২৪ এ প্যাভেলিয়নে অংশ নেওয়া ৯টি প্রতিষ্ঠান হলো— ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেড, অলংকার নিকেতন (প্রা.) লিমিটেড, আমিন জুয়েলার্স লিমিটেড, ভেনাস জুয়েলার্স লিমিটেড, কুঞ্জ জুয়েলার্স, রয়েল মালাবার জুয়েলার্স (বিডি) লি., আপন জুয়েলার্স, জড়োয়া হাউজ (প্রা.) লিমিটেড ও রিজভী জুয়েলার্স।
মিনি প্যাভেলিয়নে অংশ নেওয়া ১৭টি প্রতিষ্ঠান হলো— ডায়মন্ড বাজার অ্যান্ড গোল্ড, গৌরব জুয়েলার্স, আলভী জুয়েলার্স, আই. কে জুয়েলার্স লিমিটেড, চৌধুরী গোল্ড, রিয়া জুয়েলার্স, আফতাব জুয়েলার্স, ডায়মন্ড হাউজ, রয়েল ডায়মন্ড, দি ডায়মন্ড স্টোর, ড্রিমজ ইন্সট্রুমেন্ট টেকনোলজি, রাজ জুয়েলার্স লিমিটেড, জারা গোল্ড, জায়া গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড, সাস ইন্টারন্যাশনাল, দি পার্ল ওয়েসিস জুয়েলার্স ও ডি ডামাস দি আর্ট অব জুয়েলারি।
স্টলে অংশ নেওয়া ১৫টি প্রতিষ্ঠান হলো— গোল্ডেন ওয়ার্ল্ড জুয়েলার্স, দি আই. কে জুয়েলার্স, গীতাঞ্জলী জুয়েলার্স, আয়াত ডায়মন্ডস, সিরাজ জুয়েলার্স, পাপড়ি জুয়েলার্স, ডায়মন্ড প্যালেস, ডায়মন্ড স্কয়ার, নিউ বসুন্ধরা জুয়েলার্স, রাজঐশ্বরী, ডি গোল্ড প্যাশন, বাংলাদেশ সায়েন্টিফিক ইন্সট্রুমেন্ট কোম্পানি, জেমস গ্যালারীরি অ্যান্ড ডায়মন্ড, খোকন জুয়েলার্স ও আরএন মাইক্রোটেক।