সৌদিতে তিন এজেন্সির মালিক আটক: দুশ্চিন্তায় ৮২৩ হজযাত্রী
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
সৌদি আরবের মক্কায় ইউরো ও আহসানিয়া হজ মিশন এবং কোবা হজ এজেন্সির মালিককে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হলেন- কোবা এয়ার ইন্ট্যারন্যাশনালের মালিক মো. মাহমুদুর রহমান ও তার ছেলে ইউরো ও আহসানিয়া হজ মিশনের মালিক সাদ বিন মাহমুদ। তাদের তিনটির এজেন্সির অধীনে ৮২৩ জন হজযাত্রী রয়েছেন। এজেন্সি মালিকদের আটকের ফলে হজযাত্রীরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীনের স্বাক্ষরিত বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, এই এজেন্সি মালিকদের বিরুদ্ধে ১৫ শতাংশ সৌদি কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সৌদির একটি ব্যাংক থেকে এই এজেন্সির মালিকরা ৯ লাখ সৌদি মুদ্রা রিয়াল উত্তোলন করেন। এরপর পুলিশের জেরার মুখে কর ফাঁকির বিষয়টি ধরা পড়লে রিয়ালসহ তাদের আটক করা হয়।
এদিকে হজ ফ্লাইটের প্রথম দিন ভিসা জটিলতায় ও হজ এজেন্সির অবহেলায় ১৪০ জন হজযাত্রী নির্ধারিত ফ্লাইটে হজে যেতে পারেননি। এরপর তিন এজেন্সির অধীনে ৮২৩ জন হজযাত্রীরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়।
এদিকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, এই তিনটি এজেন্সির অধীনে ৮২৩ জন হজযাত্রীর আগামী ১ জুন বিমানের টিকিট নিশ্চিত করা আছে। মালিকদের আটকের কারণে নির্ধারিত তারিখের ন্যূনতম ১০ দিন বিমানের টিকিট পিছিয়ে দিতে বলেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
এই বিষয়ে হজ পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, তিনটি হজ এজেন্সির মালিক টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে সৌদি আরবের পুলিশ তাদের আটক করেছে। তবে হজযাত্রীদের অনিশ্চিয়তার কোনো কারণ নেই। তাদের মালিকদের আটক করায় ১০ দিন সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে। তাদের হজযাত্রায় কোনো সমস্যা হবে না বলে জানান তিনি।
এদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সৌদি যাওয়া হজযাত্রীদের বিড়ম্বনার অভিযোগে ৮টি হজ এজেন্সিকে শোকজ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। শোকজে বলা হয়, গত ২১ মে ৮টি এজেন্সির হজযাত্রী মক্কায় আসেন। এসব এজেন্সি হজযাত্রীদের ভিসায় যে হোটেলের ঠিকানা রয়েছে সেই হোটেলে না উঠিয়ে মক্কার বিভিন্ন ফিতরা করা হোটেলে উঠায়। ফলে হজযাত্রীদের নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৮ হজ এজেন্সিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।