
পিরোজপুর প্রতিনিধি:
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশে রমজান মাস শুরুর আগের দিনই রোজা পালন করছেন পিরোজপুরের তিন উপজেলার ১০ গ্রামের আট শতাধিক পরিবার। গতরাতে তারাবির নামাজ আদায়ের মধ্যে দিয়ে শনিবার (১ মার্চ) থেকে ওইসব পরিবার রোজা পালন করছেন।শরিয়তপুরের শুরেশ্বর দরবার শরীফের মুরিদ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার মিরাজ খন্দকার রোজা রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, শরিয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার শুরেশ্বর গ্রামের হজরত মাওলানা আহমেদ আলী শুরেশ্বর পীরের অনুসারীরা ১৫০ বছর ধরে প্রতি বছর সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগাম রোজা রাখাসহ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে থাকেন। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ওইসব পরিবার রোজা পালন করছে বলে তারা জানান।স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের ভাইজোড়া, কচুবাড়িয়া, সাপলেজা, ঝাটিবুনিয়া, খেতাছিড়া ও চকরগাছিয়া এ ৬ গ্রামের প্রায় ৭ শতাধিক, জেলার কাউখালী উপজেলার বেতকা, শিয়ালকাঠী ও পারসাতুরিয়া ইউনিয়নের প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ পরিবার, জেলার নাজিরপুর উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামের ৩৫ পরিবার, জেলার সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের কদমতলা ও একপাই জুজখোলা গ্রামের প্রায় ৬০ পরিবার সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগাম রোজা রাখছেন।
নাজিরপুরের রঘুনাথপুর গ্রামের আল-আমিন জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা কামরুজ্জামান বলেন, আমরা শুরেশ্বর পীরের অনুসারীরা প্রতিবছর সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা পালন করে আসছি। এবছরও একইভাবে গতরাতে তারাবির নামাজ পড়ে সাহরি খেয়ে আজ রোজা পালন করছি।
নাজিরপুর উপজেলার শেখমাঠিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য বাবুল খান বলেন, আমরা ৩৫টি পরিবার প্রায় ১৫ থেকে ১৭ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, নামাজ, ঈদ পালন করে থাকি। আমাদের দেখাদেখি জেলায় এবং পার্শ্ববর্তী বাগেরহাট জেলার অনেক পরিবার এভাবে পালন করে আসছে।
শরিয়তপুরের শুরেশ্বর দরবার শরীফের মুরিদ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার মিরাজ খন্দকার বলেন, আমার দাদার বাবা ইনাম উদ্দিন খন্দকার থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত আমরা সৌদির সঙ্গে মিল রেখে রোজা-ঈদ পালন করে আসছি, মঠবাড়িয়া প্রায় ৭ শতাধিকের বেশি পরিবার এটা পালন করে। আমার এখানে ৮০ বছরের মতো সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা-ঈদ পালন করে আসছি।