সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
চাঁদপুর প্রতিনিধি:
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জসহ জেলার প্রায় ৪০ গ্রামে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হচ্ছে। বুধবার (২৮ জুন) ঈদের প্রথম জামাত সকালে ৮টায় সাদ্রা ঈদগাঁ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের জামাতের ইমামতি করেন, মাওলানা আরিফুর রহমান সাদ্রাভী।
জানা গেছে, ১৯২৮ সাল থেকে হাজীগঞ্জের রামচন্দ্রপুর মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন শুরু করেন। এরপর থেকে চাঁদপুরের প্রায় ৪০ গ্রামের মানুষ রোজা ও আগাম ঈদ পালন করে আসছেন। তবে তারা বলছেন, সৌদি আরব নয়, চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করেই রোজা ও ঈদ পালন করে থাকেন।
স্থানীয়রা জানান, হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, দক্ষিণ বলাখাল, নিলাম বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বড়কুল, অলিপুর, উচ্চঙ্গা, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাশারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট। মতলব উপজেলার মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ কচুয়া ও শাহরাস্তির কয়েক গ্রামসহ চাঁদপুরের পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, শরীয়তপুর ও চট্টগ্রাম জেলার কয়েকটি স্থানে মাওলানা ইছহাক খানের অনুসারীরা একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।
এ বিষয়ে সাদ্রা দরবার শরিফের বর্তমান পীর মাওলানা আরিফুর রহমান সাদ্রাভী সংবাদকর্মীদের বলেন, সৌদি আরব নয়, কোরআন-হাদিসের আলোকে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আমরা ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো উদযাপন করে থাকি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিতর্কের কিছুই নেই। আমরা কোরআন-হাদিস অনুযায়ী চাঁদ দেখে সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। একদিন না একদিন সবাই আমাদের সিদ্ধান্তের সঙ্গে এক হবেন।