সৌদি থেকে শানিত হয়ে ফেরার প্রত্যাশায় ফুটবলাররা

প্রকাশিত: ২:১৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ৬, ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক:

 

সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ফুটবল সম্পর্কটা গভীর করেছেন সাফের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন। তিনি বাংলাদেশে প্রথম চালু করেছেন ফুটবল দল বিদেশে গিয়ে কন্ডিশনিং ক্যাম্প করবে। প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। এক সময় দেশের ফুটবল নীতি-নির্ধারকরা এসব চিন্তাও করতে পারতেন না। কাজী সালাহউদ্দিন বাফুফের সভাপতি হওয়ার পর ফুটবল দলকে বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানোর পরিকল্পনা করলেন। পাঠালেনও সব সময়।

পুরুষ ফুটবল নিয়ে দেশের অনুরাগীদের খুব বেশি আশা ছিল না। সব কিছু জেনেও সালাহউদ্দিন পুরুষ ফুটবল দলকে বিদেশি কোচ এনে দিলেন, কোচিং স্টাফ এনে দিলেন। তারপর বিদেশে পাঠানোর ক্যাম্প করতে অনেক সমালোচনা হলেও বর্তমান বাফুফে দেখছে বিদেশে পাঠাতে হবে। সৌদি আরবে পাঠানোর চিন্তা করেছে বাফুফে। সৌদি আরবে নতুন যাচ্ছেন না বাংলাদেশের ফুটবলাররা। আগেও গেছেন।

আগামী ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপে খেলতে যাওয়ার আগে এবারও জাতীয় দলের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা সৌদি আরবকেই অনুশীলনের জন্য নির্ধারণ করলেন। গতকাল সৌদি আরব চলে গেছে ফুটবল দল। ৩০ ফুটবলারের মধ্যে ২৭ জন গেছেন। হামজা চৌধুরী পরে যোগ দেবেন, সেটি ঢাকায় এসে, ফাহামিদুল ইতালি থেকে যোগ দেবেন। আর আজ সৌদি আরবে যাবেন রহমত মিয়া। তিনি গতকাল এয়ারপোর্টে গিয়েও ফিরে এসেছেন। কারণ তার ভিসা তখনো হাতে এসে পৌঁছায়নি। বিমানের দরজা বন্ধ হওয়ার পর ভিসা হাতে এসেছিল। এক অর্থে রহমত মিয়া যেন দলের অন্য খেলোয়াড়দের বিমানে তুলে দিয়ে ফিরেছেন।

 

বিমানে ওঠার আগে কোচ হ্যাভিয়ের, অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া জানিয়ে গেছেন তারা নতুন এক বাংলাদেশ উপহার দিতে চান। সেই লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তুতি নিতে সৌদি আরবে যাচ্ছেন। ফিরবেন লড়াকু বাংলাদেশের হয়ে। জামালদের কথায় ঝাঁঝ রয়েছে। আগে সেগুলো ছিল না। এখন যেন একটু ভিন্ন মাত্রা পাচ্ছে। আর এই মাত্রা যোগ হয়েছে হামজা চৌধুরীর কারণে। হামজা আসবেন বলেই নাকি ফুটবলারদের মধ্যে রোমাঞ্চ অনুভূত হচ্ছে। হবেই না কেন। হামজা ইংলিশ লিগের ফুটবলার। তাকে এখন থেকে নয়, অনেক আগ থেকে সবাই চেনেন এবং জানেন।

কিন্তু কখনো বাংলাদেশের জার্সি গায়ে খেলতে পারেন সেটি জাতীয় দলের ফুটবলারদের মধ্যে নাড়া দেয়নি। এবার যখন হামজা নিশ্চিত করলেন তিনি আসছেন, খেলবেন। তাতেই অন্য ফুটবলাররা জ্বলে উঠলেন। নিজেদের প্রমাণ করতে আগুন-ঝরা পারফরম্যান্স মেলে ধরতে চান। সে কথা মাথায় রেখেই সৌদি আরব থেকে শানিত হয়ে ফেরার কথা জানিয়েছেন ফুটবলাররা।