ক্রীড়া ডেস্ক :
সাকিব আল হাসান হাসলে, হাসে বাংলাদেশ। গত এক যুগের বেশি সময় ধরেই এমনটা হয়ে আসছে। আজ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের টপ অর্ডার যখন বাংলাদেশের বোলারদের চোখ রাঙাচ্ছিল, তখন ত্রাতার ভূমিকায় অবর্তীন হন তিনি। প্রথমে ইব্রাহিম জাদরান ও পরে রহমত শাহর উইকেট নিয়ে শুরুর আঘাতটা হেনেছেন। সবমিলিয়ে ৩০ রান খরচায় তিনটি উইকেট নিয়েছেন তিনি। আর তাতে বিশ্বকাপে স্পিনারদের মধ্যে শীর্ষ উইকেট শিকারের তালিকায় তিন নম্বরে পৌঁছে গেছেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
২০০৬ সালে ওয়ানডে অভিষেকের পর বাংলাদেশের হয়ে একটি বিশ্বকাপও সাকিব মিস করেননি। গত চার বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান ও উইকেট সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। ২৯ ম্যাচে ৮২.২৬ স্ট্রাইক রেটে ৪৫.৮৪ গড়ে সাকিবের রান ১ হাজার ১৪৬। বিশ্বকাপে দুটি সেঞ্চুরি ছাড়াও ১০টি হাফ সেঞ্চুরি আছে। সমান ম্যাচে তার উইকেট ৩৪টি। ব্যাটারদের তালিকায় কিছুটা নিচের দিকে থাকলেও বোলারদের তালিকায় সাকিব ছিলেন চতুর্থ স্থানে। যদিও খেলা চালিয়ে যাওয়া ক্রিকেটারদের তালিকায় সাকিব ছিলেন এক নম্বর।
শনিবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই সাকিব পেছনে ফেলেছেন ডেনিয়েল ভেট্টরিকে। ৩২ বলে কিউই এই স্পিনারের উইকেট ছিল ৩৬টি। আফগান ব্যাটার নাজিবুল্লাহ জাদরানকে বোল্ড করে বাংলাদেশের অধিনায়ক ভেট্টরিকে পেছনে ফেলেন। বিশ্বকাপে স্পিনারদের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট এখন সাকিবের। তার সামনে আছেন কেবল ইমরান তাহির ও সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক মুত্তিয়া মুরালিধরন। মুরালিধরনের উইকেট ৪০ ম্যাচে ৬৮টি এবং ইমরান তাহিরের উইকেট ২২ ম্যাচে ৪০টি।
ইংল্যান্ডে আয়োজিত বিশ্বকাপে সাকিবের যে পারফরম্যান্স ছিল, সেটা অনন্য। তেমন কিছু আগে কখনও ওয়ানডে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে দেখা যায়নি। ব্যাট হাতে ৬০৬ রানের পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছিলেন ১১ উইকেট। এবারের আসরে আফগানদের বিপক্ষে বল হাতে দারুণ নৈপুণ্যে আগের বিশ্বকাপ ফিরিয়ে আনার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন এই অলরাউন্ডার।