স্প্যান বসানো শেষ করে যমুনা নদীতে দৃশ্যমান ৪৯ স্প্যানের বঙ্গবন্ধু রেল সেতু
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
জেলা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জঃ
যমুনা নদীর বুকে সম্পূর্ণ দৃশ্যমান হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু। নির্মাণাধীন সেতুটির সব কটি স্প্যান বসানো হয়েছে। গত এপ্রিল থেকেই সেতুর ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটারের পুরোটাই দৃশ্যমান। তবে অন্যান্য কিছু কাজ এখনো বাকি। আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষ অথবা জানুয়ারির প্রথম দিকে সেতুটি উদ্বোধন করা হবে বলে সেতু কর্তৃপক্ষ জানান।
সেতু প্রকল্প পরিচালক আলফাত্তাহ মো. মাসইদুর রহমান বলেন, ৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যান বসিয়ে সেতুর পুরো ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার সুপার স্ট্রাকচার এখন পুরোটাই দৃশ্যমান। এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পে ৮৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ১৪ শতাংশ কাজ দ্রুতই সম্পন্ন করা হবে। সেতুর ওপর ডুয়েল গেজ রেললাইন বসানোর কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, সেতুতে রেল লাইন নির্মান কাজ নভেম্বর নাগাদ শেষ হবে। এছাড়াও পূর্ব প্রান্ত টাঙ্গাইলে প্লাটফর্ম সহ অন্যান্য কাজ আগস্টে এবং পশ্চিম অংশ সিরাজগঞ্জে একি কাজ সেপ্টেম্বর, অক্টোবর নাগাদ শেষ হবে। শেষ হলে সেতুটি ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত হবে। সেতু নির্মানে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকার ব্যয় ধরা হয়েছিলো। নির্ধারিত বরাদ্ধের মধ্যে সেতু নির্মান শেষ হবে। বরাদ্ধকৃত অর্থের মধ্যে জাপানের জাইকা ৭৫ শতাংশ এবং বাংলাদেশ সরকার ২৫ শতাংশ ব্যয় করবেন। ৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যান বসিয়ে সেতুর পুরো ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার সুপার স্ট্রাকচার এখন পুরোটাই দৃশ্যমান।
সেতুটির প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে সেতুটি নির্মিত হচ্ছে। এর নির্মাণ ব্যয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটি নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সমান্তরাল ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের এই রেলসেতুর পিলার নির্মাণে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের মার্চ মাসে। ডব্লিউডি-১ ও ডব্লিউডি-২ নামে দুটি প্যাকেজে জাপানি পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
ডব্লিউডি-১ প্যাকেজটি বাস্তবায়ন করছে জাপানি আন্তর্জাতিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওবাইসি, টোআ করপোরেশন ও জেইসি (ওটিজে) জয়েন্ট ভেঞ্চার। ডব্লিউডি-২ প্যাকেজটি বাস্তবায়নে রয়েছে জাপানের আইএইচআই ও এসএমসিসি জয়েন্ট ভেঞ্চার। এ ছাড়া সেতুর উভয় প্রান্তের দুই স্টেশনে সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপনে ডব্লিউডি-৩ নামে অপর একটি প্যাকেজের কাজও চলছে। সেতুটি নির্মাণে জাপান, ভিয়েতনাম, নেপাল, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের কর্মীরা নিয়োজিত আছেন। ডব্লিউডি-১ প্যাকেজের ৯৬ দশমিক ১৫ শতাংশ, ডব্লিউডি-২ প্যাকেজের ৯০ শতাংশ ও ডব্লিউডি-৩ প্যাকেজের প্রায় ৬৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।