রংপুর প্রতিনিধি:
রংপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের অপসারণ প্রত্যাহার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলররা অবহেলিত নগরবাসীর দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে তাদের স্বপদে পুনর্বহাল রাখার দাবি জানান।
‘জনপ্রতিনিধি অপসারণ, জনভোগান্তির মূল কারণ’ শিরোনামে ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাহমুদুর রহমান টিটু বলেন, কাউন্সিলর পদটি কোনো রাজনৈতিক পদ নয়। আমরা দলীয় প্রতীকে নির্বাচনও করিনি। নির্বাচনের পর আমরা নগরবাসীর সেবা দিয়ে আসছিলাম। তারপরও গত ২৬ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিশেষ করে কাউন্সিলরদের অপসারণ করে আমাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রংপুর সিটি করপোরেশন থেকে আন্দোলকারীদের সার্বিক সহযোগিতা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্দোলনের পর দুটি মাসিক সভায় ৪৪ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৩৮ জন কাউন্সিলর উপস্থিত থাকাসহ নিয়মিত অফিস করছিলাম। হঠাৎ করে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অপসারণ করায় আমরা হতবাক হয়েছি। নাগরিকরা সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন। আমাদের স্থলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়া হলেও তারা এলাকায় আসেন না, কাউকে চেনেন না। ফলে বাড়ছে নাগরিক দুর্ভোগ। এই জনদুর্ভোগ যাতে জনবিস্ফোরণে পরিণত না হয়, সেজন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা উপদেষ্টাসহ অন্তর্র্বতী সরকারের জোর দাবি-আমাদের স্বপদে ফিরিয়ে নিয়ে জনদুর্ভোগ দূর করুন। আমরা বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশের অংশ হিসেবে রংপুর সিটি করপোরেশনের নাগরিকদের সেবায় অন্তর্র্বতী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চাই।
এসময় জনপ্রতিনিধি না থাকায় বিচার-শালিস, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ জনদুর্ভোগের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে আরও বক্তব্য দেন সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু হাসান চঞ্চল, নজরুল ইসলাম দেওয়ানি, মাহবুবার রহমান মঞ্জু, লিটন পারভেজ, গোলাম সারওয়ার মির্জা, মাসুদ রানা, সংরক্ষিত ফেরদৌসি বেগম, দিলারা বেগম, হাসনা বানু ও সুলতানা পারভিন। সংবাদ সম্মেলনে রংপুর সিটি করপোরেশনের অপসারণ হওয়া ৪৪ কাউন্সিলরের মধ্যে ৩৮ জন উপস্থিত ছিলেন।