স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দিবো না: ডিএমপি কমিশনার
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
এসএম দেলোয়ার হোসেন:
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি হিসেবে আমরা এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দিবো না। যে কোন রাজনৈতিক দল শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করলে ডিএমপি পুলিশ তাদের সহযোগিতা করবে। তবে কেউ যদি জ্বালাও-পোড়াও ও ভাঙচুর করতে চায় তাহলে আমরা তা রুখে দিবো। রাষ্ট্রের কর্মচারি হিসেবে এটাই আমাদের দায়িত্ব। আজ বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকালে মিরপুর পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পুলিশ লাইন্স-এ অনুষ্ঠিত গ্র্যান্ড রোলকলে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার সরেজমিনে ফোর্সের অবস্থা পরিদর্শন ও ফোর্সের কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার মিরপুরের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট পুলিশ লাইন্সে এ গ্র্যান্ড রোলকল অনুষ্ঠিত হয়। রোলকলে ডিএমপি কমিশনার বিভিন্ন পদবির পুলিশ সদস্যদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনেন ও তাৎক্ষণিক সমাধান দেন।
গ্র্যান্ড রোলকলে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদ্যের উদ্দেশ্যে ডিএমপি প্রধান বলেন, আমরা টিম ডিএমপি রাজধানীর নিরাপত্তা রক্ষার গুরুদায়িত্ব পালন করি। ১৯৭১ সাল থেকে শুরু করে বাংলাদেশ পুলিশ কোন কাজে পিছপা হয়নি। ৭১ সালে রাজারবাগে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের বীর সদস্যরা থ্রি নট থ্রি রাইফেল নিয়ে আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন কিন্তু কাপুরুষের মতো পালিয়ে যাননি। ১৯৭৫ সালেও পুলিশ সদস্য এএসআই সিদ্দিকুর রহমান পালিয়ে না গিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রক্ষায় নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলেন। আমরা সেই পুলিশের উত্তরসূরী, এটা নিয়ে আমরা গর্ব করি। তাদের উত্তরসূরী হিসেবে বলতে পারি আজ পর্যন্ত আমরা কোন ডিউটিতে ব্যর্থ হই নাই এবং ভবিষ্যতেও হবো না।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ২০১২-১৩ সালের অগ্নিসন্ত্রাস ও ২০১৫-১৬ সালের জঙ্গিবাদ নিজেদের জীবন দিয়ে রুখে দিয়েছিল বাংলাদেশ পুলিশ। তারপর থেকেই বাংলাদেশে একটা শান্তিপূর্ণ স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। যার ফলে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। আমরা হবো উন্নত দেশের পুলিশ।
পিওএম বিভাগের পুলিশ সদস্যরা অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, মাদক, অনলাইন জুয়া, ডিউটি অবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহার ও রাত জেগে মোবাইল ফোন ব্রাউজিং থেকে বিরত থাকতে হবে। নিজেদের স্বাস্থ্যের যতœ নিতে হবে। তিনি বলেন, সামনে আমাদের অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ আসবে, সেই চ্যালেঞ্জ আমাদের মোকাবেলা করতে হবে। আমার বিশ্বাস দেশপ্রেমে উদ্ভুদ্ধ হয়ে তোমরা যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছ।
এ গ্র্যান্ড রোলকল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার(ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান; যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ; উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাগণ।