স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত স্বামী-স্ত্রীর অবৈধ কোটি টাকার সন্ধান, দুদকের মামলা
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
জেলা প্রতিনিধি,ঠাকুরগাঁওঃ
ঠাকুরগাঁওয়ে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর (স্বাস্থ্য পরিদর্শক) মো. আখতার ফারুক ও একই অফিসে কর্মরত তার স্ত্রী মেডিকেল টেকনোলজিস্টের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করেছে। জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ মামলা করা হয়েছে।দুদক সূত্রে জানা যায়, আখতার ফারুক ও তার স্ত্রী শিরীন আক্তারের বিরুদ্ধে কমিশন থেকে অভিযোগ আসার পর তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে অভিযুক্তরা লিখিতভাবে তাদের দায়িত্ব ও সম্পত্তি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেন দুদকের কাছে।
দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. আখতার ফারুকের নামে ৩৩ লাখ ৯২ হাজার ৬২১ টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক প্রমাণ পায় অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা। জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অপরাধে ফারুকের মামলা দায়ের করা হয়। সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে ফারুকের স্ত্রী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট শিরীন আক্তারের নামে ৫৬ লাখ ৮২ হাজার ৬৮৯ টাকা জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত ও তা নিজ ভোগদখলে রাখায় অপর মামলাটি দায়ের করা হয়।দুদকের সহকারী পরিচালক ইমরান হোসেন বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. আখতার ফারুক বলেন, ‘মামলা হওয়ার বিষয়টি আদালত বা দুদক কেউই আমাকে জানায়নি। অভিযোগটি হাতে পেলে এ বিষয়ে কথা বলব।’
দুদকের ঠাকুরগাঁও জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আখতার ফারুক ও তার স্ত্রী শিরীন আক্তারের বিরুদ্ধে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পত্তি অর্জনের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে মামলা হয়। আগামী তিন মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে পারবেন তিনি।এ প্রসঙ্গে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবুল বাশার মো. সায়েদুজ্জামান বলেন, ‘মামলা হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছি। তবে অফিশিয়ালি কোনো কাগজপত্র পাইনি। চিঠিপত্র পেলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’