ঢাকার আশুলিয়ার পোশাক কারখানার এক তরুণী গ্রামের বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। ওই তরুণীকে সড়কের পাশ থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার ভোরে টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইলের সাগরদিঘি এলাকায় সড়কের পাশে অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিলেন ওই তরুণী। পরে স্থানীয় লোকজনের কাছে খবর পেয়ে স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ওই তরুণী অভিযোগ করেন, তিন বছর ধরে তিনি ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করে আসছেন। আশুলিয়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি। বৃহস্পতিবার গার্মেন্টসে কাজ শেষ করে রাত সাড়ে নয়টার দিকে জামালপুর সদর উপজেলার গ্রামের বাড়ি ফেরার জন্য আশুলিয়া বাইপাইল এলাকায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। এ সময় একটি পিকআপ ভ্যান তাঁর সামনে এসে দাঁড়ায়। পিকআপ ভ্যানের চালক ও সহকারী তাঁকে জিজ্ঞেস করেন কোথায় যাবেন। জামালপুর যাওয়ার কথা বললে তাঁরা পিকআপ ভ্যানে তাঁকে উঠিয়ে নেন। কিছু দূর যাওয়ার পর জোর করে তাঁকে জুস খাওয়ানো হয়। জুস খাওয়ার পর তিনি অবচেতন হয়ে পড়েন এবং তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। পরে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের সাগরদিঘি এলাকায় সড়কের পাশে তাঁকে ফেলে চলে যান তাঁরা।
এ ঘটনায় আজ রোববার বিকেল পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তবে ওই তরুণী এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (এডি) হাফিজুর রহমান বলেন, ওই নারীকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই নারীর চিকিৎসা চলছে। কিন্তু তিনি এখনো ভালোভাবে কথা বলতে পারেন না। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। মেডিকেল বোর্ড ইতিমধ্যে নমুনা সংগ্রহ করেছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানা যাবে ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কি না।