ইসলামিক ডেস্ক:
একজন মুসলমানের কাছে মৌলিক প্রয়োজনের অতিরিক্ত মক্কায় গিয়ে হজ করে নিজ দেশে আসা পরিমাণ সম্পদ থাকলে তার ওপর হজ ফরজ। হজ ফরজ হলে সঙ্গে সঙ্গে অর্থাৎ, যে বছর হজ ফরজ হয় সে বছরই আদায় করা ওয়াজিব।
হজ ফরজের পর আদায়ে দেরি করা ইসলামে নিন্দনীয় ও গুনাহের অন্তর্ভুক্ত।
এক হাদিসে রাসূল সা. বলেন, ‘বায়তুল্লাহর হজ করার জন্য যে ব্যক্তির পথসম্বল আছে এবং বাহন ইত্যাদির ব্যয় বহনের সামর্থ্য আছে অথচ সে হজ সম্পাদন করে না, সে ইহুদি কিংবা খ্রিস্টান হয়ে মৃত্যুবরণ করুক, তাতে কিছু যায়-আসে না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৮১২; বায়হাকি, হাদিস : ৩৬৯২)
এজন্য হজ ফরজ হওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব আদায় করে নেওয়া উচিত। দেরি করলে হজযাত্রীর অসুস্থতা, সম্পদ কমে যাওয়া বা এ জাতীয় কোনো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এক হাদিসে হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি হজ করার ইচ্ছা করে, সে যেন তাড়াতাড়ি আদায় করে নেয়। কারণ যেকোনো সময় সে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে বা বাহনের ব্যবস্থাও না থাকতে পারে; অথবা অন্য কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৮৩৩; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৮৮৩; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১৭৩২)
হজ ফরজের পর কেউ অসুস্থ হয়ে গড়লে অন্যের মাধ্যমে বদলি হজ করানোর বিধান রয়েছে। তবে হজের সফরে গিয়ে কেউ কেউ ইন্তেকাল করেন।
এমন হজযাত্রীর হজের বিধান নিয়ে ইসলামি আইন ও ফেকাহ শাস্ত্রবিদেরা বলেন, যদি হজ ফরজ হওয়ার পর সেই বছরেই হজ আদায় করতে গিয়ে ইন্তেকাল করেন হজযাত্রী তাহলে তার পক্ষ থেকে বদলি হজ আদায় করতে হবে না।