হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে মোফাজ্জলের নগদ টাকা বেড়েছে ১২ গুণ

প্রকাশিত: ১:০৬ অপরাহ্ণ, মে ১১, ২০২৪

জেলা প্রতিনিধি,ময়মনসিংহঃ  

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ মে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিন প্রার্থী। তাদের মধ্যে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যানের পাশাপাশি গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অল্পের জন্য এমপি হতে না পারা সোমনাথ সাহাও প্রার্থী হয়েছেন। ফলে জমে উঠেছে নির্বাচন।নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা তিন প্রার্থীর হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আয়-সম্পদে সোমনাথের ধারেকাছে কেউ নেই। তবে পাঁচ বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করা মোফাজ্জলের নগদ টাকা বেড়েছে ১২ গুণ। জমি-বাড়ি ছাড়াও বেড়েছে তাঁর স্ত্রীর স্বর্ণ।

মোফাজ্জল হোসেন খান উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ২০১৯ সালের উপজেলা নির্বাচনে প্রথমবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। হলফনামায় দেখা গেছে, তাঁর কৃষিখাতে আয় ১ লাখ টাকা, মৎস্য চাষে আয় ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা, চেয়ারম্যান হিসেবে সম্মানী ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ২০১৯ সালে অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে নগদ ১ লাখ টাকা দেখানো হলেও পাঁচ বছরের ব্যবধানে এবার দেখানো হয়েছে ১২ লাখ টাকা।পাঁচ বছর আগে মোফাজ্জলের অকৃষি জমি ও বাড়ি ছিল না। অথছ এখন তিনি ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ অকৃষি জমির মালিক; যার দাম ৪৮ লাখ টাকা। এছাড়া দুটি হাফবিল্ডিং বাড়ির দাম দেখানো হয়েছে ১০ লাখ টাকা। নিজের কোনো দায়-দেনা নেই।

সোমনাথ সাহা গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। গত সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নৌকার প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নিলুফার আনজুম পপির কাছে অল্প ভোটে হারেন। এবার তিনি উপজেলা নির্বাচনে লড়ছেন। এই নেতার পেশা পরিবহন ও ঠিকাদারি ব্যবসা। এ খাত থেকেই তার বছরে আয় ১ কোটি ৯ লাখ ৭৭ হাজার ২২৪ টাকা। ব্যাংক আমানত থেকে আয় ১ হাজার ৭৩৭ টাকা।

অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে নিজের নগদ ১৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা এবং স্ত্রীর নামে নগদ ১২ লাখ ৪১ হাজার টাকা উল্লেখ করেন সোমনাথ। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা। সঞ্চয়পত্র ও স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ নিজের ৮৮ লাখ ২০ হাজার ও স্ত্রীর ৪৫ লাখ টাকা। বাস-ট্রাক ও অন্যান্য গাড়ির দাম দেখানো হয় ৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। স্ত্রীর স্বর্ণের দাম ২০ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে ইলেকট্রনিক সামগ্রী ১ লাখ ও আসবাব দেখানো হয় ১ লাখ টাকার।

সোমনাথের স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে অকৃষি জমির দাম ১ কোটি ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা, যৌথ মালিকানায় ১ কোটি ৩৮ লাখ ৬০ হাজার টাকার জমি। ঋণ ৩ কোটি ৪২ লাখ ৩২ হাজার ৬৪৮ টাকা।অপর প্রার্থী এইচ এম খায়রুল বাসার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির সদস্য ও ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য। হলফনামা অনুযায়ী তাঁর পেশা ব্যবসা। তিনি কৃষিখাত থেকে ৮ লাখ ৯৬ হাজার ৫০০ টাকা ও ব্যবসা থেকে ২ লাখ টাকা বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন।

হলফনামায় অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে নগদ ৪ লাখ টাকা, নিজের ১ ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ টাকা, ৯০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও ৮০ হাজার টাকার আসবাবের কথা উল্লেখ করা হয়। অস্থাবর সম্পত্তি ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ কৃষিজমির দাম ২ লাখ ৫৮ হাজার ৫০০ টাকা; দালান, আবাসিক ও বাণিজ্যিকে ১৬ শতাংশ জমি দেখানো হয়। নিজের নামে ৩ লাখ টাকা কৃষিঋণ রয়েছে।