নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর হাজারীবাগের বাড্ডা নগর এলাকার একটি বাসা থেকে সুইমায়া আক্তার সুমি (২৭) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতের চাচা সুমন মিয়া জানান, প্রায় ছয় বছর আগে পরিবারের সম্মতিতে দই ব্যবসায়ী জুবায়ের হোসেন সোহাগের সঙ্গে বিয়ে হয় সুমাইয়ার। তাদের সংসারে ছয় মাসের একটি মেয়ে এবং পাঁচ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। গতরাতে পরিবারের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ে সুমাইয়া। স্বামীর সঙ্গে কোনো রাগ বা অভিমান হয়নি তার। আজ ভোরের দিকে স্বামী সন্তানদের এক রুমে ছিটকিনি দিয়ে আটকিয়ে পাশের রুমে গিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে পড়ে সুমাইয়া। পরে বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাজারীবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সৌরভ সাহা বলেন, আজ সকালের দিকে খবর পেয়ে হাজারীবাগের ৩৮ নং বাড্ডানগরের বাসা থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো ফ্যানের সঙ্গে ওই গৃহবধূকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করি। পরে অচেতন অবস্থায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এসআই আরও জানান, নিহতের পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে গলায় ফাঁস দেওয়ার কারণ জানা যায়নি। তবুও মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
সুমাইয়া মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থানার আলী হোসেনের মেয়ে। বর্তমানে স্বামীর সঙ্গে হাজারীবাগের বাড্ডানগরে ভাড়া থাকতেন।