হারলেই বাদ বাংলাদেশ, জিতলেই সেমিতে নিউজিল্যান্ড

প্রকাশিত: ১২:৫৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক:

 

রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ সোমবার বিকেল ৩টায় মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। এই ম্যাচটা বাংলাদেশের অবস্থা অবশ্য ‘নো রুম ফর এরর’ বা ভুলের কোনো সুযোগ নেই। হারলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বাদ পড়তে হবে নাজমুল শান্তর দলকে।

রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার সন্ধ্যায় যখন সংবাদ সম্মেলন করলেন বাংলাদেশ কোচ ফিল সিমন্স, রাতে যখন অনুশীলন শেষ হলো দলের, তখনও বাংলাদেশের সামনে দুটি সুযোগ ছিল। একটু পরেই বদলে গেছে বাস্তবতা। দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের জয়ে নিশ্চিত হয়ে গেছে, নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে জিততেই হবে বাংলাদেশকে। এই ম্যাচ হারলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই বিদায় নিশ্চিত!

শুরুর দুই আসরে টুর্নামেন্ট ছিল নক আউট। এখন ধরন বদলে গেছে। তবে বাংলাদেশের জন্য ফিরে এসেছে সেই বাস্তবতা। এই ম্যাচে না থেকেও প্রবলভাবেই আছে পাকিস্তান। বাংলাদেশ হেরে গেলে যে বিদায় ঘণ্টা বেজে যাবে তাদেরও। ২৯ বছর পর আইসিসি টুর্নামেন্ট চলছে পাকিস্তানে। নিজেদের সেই উৎসব থেকে দুই ম্যাচেই ছিটকে পড়ার শঙ্কায় তারা।

ক্রিকেটীয় শক্তি কিংবা সামগ্রিক বাস্তবতা, সব দিক থেকেই আন্ডারডগ হয়ে নামছে বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচটি দুবাইয়ে খেলে নাজমুল হোসেন শান্তর দল টুর্নামেন্টে প্রথমবার খেলবে পাকিস্তানে। নিউজিল্যান্ড সেখানে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে। সেখানে ত্রিদেশীয় সিরিজে দোর্দণ্ড প্রতাপে জিতেছে তারা। পরে গা গরমের ম্যাচে হারিয়েছে আফগানিস্তানকে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে পাত্তা দেয়নি স্বাগতিক পাকিস্তানকে। কন্ডিশন যেমন এখন তাদের আপন, পারফরম্যান্সও চূড়ায়।

এমন দলের মুখোমুখি হচ্ছে শক্তিতে পিছিয়ে থাকা, আত্মবিশ্বাস নড়বড়ে হয়ে পড়া বাংলাদেশ। কোচকে তো তবু আশা তরী বাইতে হয়। ম্যাচের আগে ফিল সিমন্স সেই চেষ্টাই করলেন।

তিনি বলেছেন, টুর্নামেন্টের প্রতিটি ম্যাচই চাপের ম্যাচ। বিশ্বের শীর্ষ আটটি দল খেলছে, এখানে সব ম্যাচ কঠিন হওয়াই প্রত্যাশিত। হ্যাঁ, নিউজিল্যান্ড খুব ভালো খেলছে এই মুহূর্তে। তবে আগামীকাল (সোমবার) নতুন একটি দিন। আমরা চেষ্টা করবো আমাদের জয় নিশ্চিত করতে।

বাংলাদেশের জন্য আশার বড় উৎস অবশ্য এই শহর আর এই মাঠ। রাওয়ালপিন্ডিতেই গত আগস্টে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার স্মরণীয় অভিজ্ঞতা আছে। সেই সুখস্মৃতি দলকে এবার উজ্জীবিত করবে বলেই আশা কোচের।

প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংই ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। উইকেট যদিও সেই ম্যাচে ব্যাটিং সহায়ক ছিল না। তারপরও, ৩৬ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর আর কী বাকি থাকে! নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে তাই টপ অর্ডারের জ্বলে ওঠার অপেক্ষায় কোচ সিমন্স। দলের কাছে তার চাওয়া তিনশর বেশি রান। এমনকি তিনশর আশেপাশে রানও যথেষ্ট নাও হতে পারে। লাহোরে শনিবার ৩৫১ রানের পুঁজি নিয়েই ইংল্যান্ড পাত্তা পায়নি অস্ট্রেলিয়ার কাছে।