লাইফস্টাইল ডেস্ক:
চারপাশে অস্থির সময়। দৈনন্দিন কাজ থেকে শুরু করে অফিস, আদালত, রাস্তাঘাট সর্বত্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাই মানসিক চাপ কমানো অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয়ে ওঠে না। হৃদয়েরও তাই খেয়াল রাখা কঠিন হয়ে ওঠে। দুশ্চিন্তা, অত্যধিক উদ্বেগ হৃদরোগের অন্যতম কারণ। সুস্থ থাকতে হলে জীবনে কিছুটা তো পরিবর্তন আনতেই হবে। রইলো তিন পরামর্শ:
শরীরচর্চার অনীহা নয়
সুস্থ থাকতে হলে শরীরচর্চার বিকল্প হয় না। তবে না বুঝে শুধু শরীরচর্চা করলেই হবে না জানতে হবে নিয়মাবলী। কী ধরনের ব্যায়াম করবেন, কত ক্ষণ ধরে করবেন, রোজই করবেন কি না। এই বিষয়গুলো স্পষ্ট হওয়া জরুরি। হার্ট ভালো রাখার জন্য কার্ডিয়ো ব্যায়াম জরুরি। কার্ডিয়ো ব্যায়ামের মধ্যে হাঁটা বা দৌড়ানো কিংবা ব্যাডমিন্টন খেলতে পারেন। সাইকেল কিংবা সাঁতারও কিন্তু চমৎকার ব্যায়াম।
রোজ নিয়ম করে আধ ঘণ্টা শরীরচর্চা করুন। খুব ব্যস্ততা থাকলে সকাল ও বিকাল দুই বেলা মিলিয়েও করতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করুন। বয়সও শরীরের অবস্থা বিবেচনা ব্যায়াম করুন। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিন।
স্বাস্থ্যকর ডায়েট
আজকাল রোগা হতে চান কমবেশি সবাই। কিন্তু আবার তেল-ঝোল, মশলাদার খাবার, ভাজাভুজি ছাড়া যেন মুখে রোচেই না। রোজ রোজ নতুন রেস্টুরেন্ট, নতুন মেন্যু এক্সপ্লোর করা এখন ট্রেন্ড। এছাড়াও প্রক্রিয়াত ও প্যাকেটজাত খাবার তো হারহামেশাই খাওয়া হয়। ডায়েটে এসব অস্বাস্থ্যকর খাবার হার্টের রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। অল্প বয়সে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হচ্ছেন, এমন রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। তাই হৃদয় সুস্থ রাখতে হলে স্বাস্থ্যকর ডায়েট ভীষণ জরুরি।
হার্ট ভাল রাখতে সুষম খাবার খান। পাতে রাখুন ঘরে তৈরি খাবার। যেমন, ভাত, রুটি, ডাল, সবজি, ডিম, মাছ, মাংস, ফলমূল, দুধ সব মিলিয়েই খেতে হবে। ডায়েটে রাখুন ডাল যা প্রোটিনের চাহিদা মেটাবে। খান প্রচুর সবুজ শাকসবজি যা ফাইবার, খনিজ, ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করবে। শর্করার চাহিদা পূরণে ভাত-রুটি তো ডায়েটে থাকেই। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের জন্য মাছ জরুরি। দুধ খেতে না পারলে ছানা, পনির, টোফু খেতে পারেন। প্রোবায়োটিকের চাহিদা মেটাবে টক দই।
মিষ্টি নয়
অনেকেরই শেষপাতে একটু মিষ্টি না হলে চলে না। তবে মিষ্টি এড়িয়ে যাওয়ারই পরামর্শ দিয়ে থাকেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা। চিনি অন্তত দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ করলেই তফাৎটা বুঝতে পারবেন। দেখবেন, অতিরিক্ত মেদ কমে গেছে শরীরে সেইসঙ্গে রক্তচাপের ওঠানামা কমছে। উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে সেটিও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।