হাসপাতালের বেজমেন্টে সেফটিক ট্যাংক বিস্ফোরণ, আশঙ্কাজনক কয়েকজন

প্রকাশিত: ১২:০৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীর জেনারেল হাসপাতাল সড়কের আদর হসপিটাল ভবনের পানির সেফটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে ৭জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (৩১ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই হাসপাতালের ভবনের ফার্মেসিতে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের প্রথমে ২৫০শষ্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গুরুতর আহতদের মধ্যে আদর ফার্মেসির কর্মচারী মো. দুলাল (২৬), দিনমজুর আশিক (২৮), রাফেলকে (৩২) রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

ঘটনা নিশ্চিত করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আরএমও সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম বলেন, ‘আহতদের মধ্যে ৭ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। দাউদ ইব্রাহিম নামের একজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার অবস্থাও ভাল নয়। অন্য তিন আহতকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।’

ক্ষতিগ্রস্ত আদর হসপিটাল ফার্মেসির প্রোপাইটর মো.আব্দুল কাদের বলেন, ‘রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালের ভবনের নিচে বেজমেন্টে পানির সেফটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে যায় দিনমজুর আশিক ও রাফেল। তখন আমি ফার্মেসিতে ছিলাম না। পানির ট্যাংক পরিষ্কার করার একপর্যায়ে আকস্মিক বিকট শব্দে ট্যাংক বিস্ফোরিত হয়। এতে আমার ফার্মেসি দোকান ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে উড়ে যায়। ওই সময় দোকানে থাকা কর্মচারী দুলাল, দিনমজুর আশিক ও রাফেল দগ্ধ হয়ে গুরুত্বর আহত হয়।’
তার দাবি ফার্মেসিতে ১৭-১৮ লাখ টাকার ওষুধ ছিল। সব মিলিয়ে ২০-২৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নোয়াখালীর সহকারি পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ বলেন, বহুতল ভবনের বেজমেন্টে থাকা পানির সেফটিক ট্যাংক হঠাৎ করে বিকট এ শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে আদর ফার্মেসি লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। বিস্ফোরণের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে বলা যাবে।