হাসপাতালে মা ও নবজাতকের মৃত্যু : ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ

প্রকাশিত: ২:৪২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীর সাউথবাংলা হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলা ও অপচিকিৎসার কারণে মা ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় ৫০ কোটাি টাকা ক্ষতিপূরণ ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. সোলায়মান (তুষার) ডাকযােগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্টার, নোয়াখালী জোলার সিভিল সার্জন, নোয়াখালীর সাউথ বাংলা হাসপাতাল, হাসপাতালের পরিচালক মহিউদ্দিন, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেস্থেসিয়া) ডা. মো. আক্তার হোসেন অভি, তার স্ত্রী ও নোয়াখালী মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস), জুনিয়র লেকচারার ডাক্তার ফৌজিয়া ফরিদ, সাউথ বাংলা হাসপাতালের মেডিকেল সহকারী জাহিদ হোসেন ও ওটি ইনচার্জ সজিব উদ্দিন হৃদয়কে ডাকযোগে আইনি নােটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১৬ অক্টোবর রাতে সেনবাগ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এমএ আউয়াল তার অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে উম্মে সালমা নিশির চিকিৎসার জন্য সাউথবাংলা হাসপাতালে আসেন। এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, কর্মরত মেডিকেল সহকারী জাহিদ হোসেনের সহায়তায় ডা. আক্তার হোসেন অভি ও তার স্ত্রী ডা. ফৌজিয়া ফরিদ রোগীকে হাসপাতালে আনুষ্ঠানিকভাবে ভর্তি না করে রোগীর কোনো রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে এবং অভিভাবকের সম্মতি না নিয়েই তাড়াহুড়া করে সিজার করেন। তখন ঘটনাস্থলেই মা ও সন্তানের মৃত্যু হয়।

পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসক ডা. অভি তার স্ত্রী ফৌজিয়া ফরিদ প্রসূতির অবস্থা সংকটাপন্ন জানিয়ে আইসিইউ সাপোর্টের কথা বলে কুমিল্লায় পাঠায়। ভিকটিমের অভিভাবকরা তাকে কুমিল্লার টাওয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, অনেক আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।আইনি নােটিশে ভিকটিম উম্মে সালমা নিশি ও তার নবজাতক মৃত্যুর ঘটনায় ৫ দিনের মধ্যে ভিকটিমের পরিবারকে ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। অন্যথায় সুপ্রিম কাের্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট দায়েরসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।