হাসিনার দাম্ভিকতাই তার পতনের কারণ : জামায়াত সেক্রেটারি
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
খুলনা প্রতিনিদি:
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, হেলিকপ্টার থেকে গুলি, মৃত মানুষকে পুড়িয়ে মারাসহ নানা অত্যাচারে-নির্যাতনে আল্লাহর আরশ কেঁপেছে, মানুষের মন কেঁদেছে, কিন্তু শেখ হাসিনার হৃদয় কাঁপেনি। বরং কোটা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্রদেরকে রাজাকার বলে শেখ হাসিনা দাম্ভিকতা দেখিয়েছেন। হাসিনার সেই দাম্ভিকতাই তার পতনের কারণ হলো।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জুলাই বিপ্লবের শহীদ স্মারকের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হল থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জুলাই আন্দোলনের শহীদরা কোনো দলের নয়, তারা জাতীয় সম্পদ, জাতীয় বীর।
২য় স্বাধীনতার শহীদ স্মারক গ্রন্থ সম্পর্কে তিনি বলেন, ২৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে জামায়াতে ইসলামীর টিম সকল শহীদ পরিবারের বাড়িতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে ৭১৭ জনের তথ্য সম্বলিত আড়াই হাজার পৃষ্ঠার এই ১০ খন্ডের বই প্রকাশ করেছে। এখনো তথ্য সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। আরও ৯৩ জনের তথ্য নিয়ে স্মারকের কাজ চলছে। যতক্ষণ তথ্য আসবে শহীদদের স্মারক গ্রন্থ ততক্ষণ চলতে থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, গত ১৬ বছরে দেশের সবগুলো বিভাগকে তছনছ করে দিয়েছিল তৎকালীন সরকার। স্বৈরাচারারের মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনা এত অন্যায় অত্যচার করেছেন যে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। দেশের মানুষ আর কোনো স্বৈরাচারকে বাংলাদেশে দেখতে চায় না।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চলের পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য খুলনা মহানগরী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলালের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।
অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও খুলনা জেলা আমির মাওলানা এমরান হুসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও বাগেরহাট জেলা আমির মাওলানা রেজাউল করীম, খুলনা আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. মুফতি মাওলানা আব্দুর রহীম, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার সাবেক সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আলাউদ্দিন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও খুলনা মহানগর সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনার প্রতিনিধি তাসনিম আহমেদ, কুয়েট প্রতিনিধি মো. ওমর ফারুক, সাতক্ষীরা জেলার যুগ্ম সদস্য সচিব নাজমুল হাসান রনি, বাগেরহাট জেলার আহ্বায়ক এস এম সাদ্দাম, নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ড. মো. শাহ আলম, শহীদ রকিবুল ইসলামের বাবা মো. রফিকুল ইমলাম, শহীদ আলিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা বুলবুল কবীর, জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী বদরুজ্জামান নাবিল, কারি হাবিবুল্লাহ বেলালী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি ঢাকাসহ দেশের ১১টি সিটিতে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়।