নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্ত্রী-সন্তান থাকার পরও হিজড়া সেজে চাঁদাবাজি করার অভিযোগে গ্রেফতার আটজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আসামিরা হলেন- মো. হোসেন ওরফে শিলা হিজড়া (২৭), মো. হৃদয় ওরফে পিয়া হিজড়া (১৮), আমিনুল ইসলাম ওরফে ঐশী হিজড়া (২১), মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে জয়া হিজড়া (২৭), মো. ইয়াহিয়া ওরফে মৌরি হিজড়া (৩০), মো. নয়ন ওরফে নিশি হিজড়া (২০), মো. বেলাল ওরফে কেয়া হিজড়া (২৮) ও মো. মিজানুর রহমান ওরফে চায়না হিজড়া (২০)।
আজ রোববার (১৩ আগস্ট) তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গতকাল শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টেকনিক্যাল মোড়ে তাওহীদ আলী নামের এক মোটরসাইকেল আরোহীর গতিরোধ করে টাকা দাবি করে হিজড়ারা। তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে জোর করে তার কাছ থেকে ২০০ টাকা কেড়ে নেয়। পরে তিনি ৯৯৯ এ ফোন করলে মিরপুর মডেল থানা পুলিশের একটি দল চাঁদাবাজি করার অভিযোগে আটজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতাররা সবাই পুরুষ। তারা দীর্ঘদিন ধরেই হিজড়া সেজে বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন।
পুলিশ জানায়, পাপ্পু হিজড়া তাদের গুরুমাতা হিসেবে পরিচিত। এই পাপ্পু দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের ঢাকায় আনেন এবং হিজড়া সাজিয়ে চাঁদাবাজি করান। বিনিময়ে প্রতিদিন ৬০০ টাকা করে দিতে হয় তাকে। গ্রেফতারদের বাড়ি লক্ষ্মীপুর, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও ময়মনসিংহ এলাকায়। তাদের কয়েকজন বিবাহিত এবং সন্তানও রয়েছে। গ্রেফতারের পর তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলার করা হয়।
এদিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার বংশাল, লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর, হাজারীবাগ, নিউমার্কেট ও ধানমন্ডিসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে কথিত হিজড়ার নামে বিভিন্ন ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে জোড়পূর্বক চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। হিজড়াবেশে চাঁদাবাজদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন ব্যবসায়ীসহ সাধারণ জনগণ। তাদের উৎপাত ঠেকাতে নগরীতে হিজড়াদের চাঁদাবাজি ঠেকাতে মহল্লাভিত্তিক পুলিশি অভিযানের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।