ক্রীড়া ডেস্ক:
উত্তর ইসরায়েলের হাইফা শহরের কাছের গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলোতে রকেট নিক্ষেপের দাবি করেছে হিজবুল্লাহ। মঙ্গলবার তেল আবিবের শহরতলিতে অবস্থিত দুটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি এবং হাইফার পশ্চিমে একটি নৌঘাঁটিতে রকেট ছুড়েছে ইরানসমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। এর জেরে তেল আবিবে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা ইউনিট ৮২০০-এর ব্যবহৃত গ্লিলোট ঘাঁটি এবং তেল আবিবের উপকণ্ঠের নিরিত এলাকায় রকেট নিক্ষেপ করেছে। এ ছাড়া উত্তরের হাইফা বন্দর শহরের বাইরে একটি নৌঘাঁটিতেও রকেট নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি করেছে গোষ্ঠীটি।
তবে এসব হামলায় ক্ষয়ক্ষতির কোনো তাৎক্ষণিক প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তেল আবিবের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে একটি প্রজেক্টাইল লেবানন থেকে এসে খোলা জায়গায় পড়েছে। এর কারণে এয়ার সাইরেন সক্রিয় হয়েছে। এ ছাড়া তেল আবিবে অন্যান্য সাইরেনও বেজে ওঠে। হিজবুল্লাহর বেশির ভাগ রকেটই ভূপাতিত করেছে তারা।
এদিকে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের প্রধান সরকারি হাসপাতালের কাছে ইসরায়েলের বিমান হামলায় এক শিশুসহ চার জন নিহত হয়েছেন। রফিক হারিরি হাসপাতালের কার পার্কে হামলাটি হয়েছে। এতে ২৪ জন আহত হয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ বৈরুতে মোট ১৩ বার হামলা হয়েছে এবং এই হামলা তারই একটি। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, তারা হিজবুল্লাহর সঙ্গে যোগসূত্র থাকা স্থাপনাগুলোতে হামলা করছে।
ইসরায়েল যদি ইরানে পাল্টা হামলা চালায়, তাহলে এর ‘পুরো দায়’ যুক্তরাষ্ট্রকে নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। ইসরায়েল ইরানে হামলা চালাতে পারে– যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এমন ইঙ্গিতের পর এই হুঁশিয়ারি দিল দেশটি।
অন্যদিকে, গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে ইসরায়েল পৌঁছেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। মঙ্গলবার তেল আবিব পৌঁছান তিনি। তবে তাঁর এই সফরে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কূটনৈতিক সাফল্যের প্রত্যাশা খুবই কম বলে মনে করা হচ্ছে। এরই মধ্যে অবরুদ্ধ এ উপত্যকার গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৪৮৭ জন। এমনটাই জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর আলজাজিরা ও রয়টার্সের।