বিনোদন ডেস্ক :
হেরে যাওয়ার ভয়ে পিছিয়ে আসার পাত্রী নন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। সে কথার প্রমাণ দিতেই আরও একবার খোলনলচে বদলে হাজির হচ্ছেন ভিন্ন রূপে। পর্দায় নিজেকে তুলে ধরতে যাচ্ছেন দেবী চৌধুরানীর মতো দোর্দণ্ড প্রতাপশালী ঐতিহাসিক চরিত্রে। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কালজয়ী উপন্যাস ‘দেবী চৌধুরানী’ নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করছেন শুভ্রজিৎ মিত্র।
ছবির নাম ভূমিকায় থাকছেন শ্রাবন্তী। এ খবর অনেকেরই জানা। কিন্তু কেন এই চরিত্রের জন্য শ্রাবন্তীকে নির্বাচন, তা অনেকেরই অজানা। দেবী চৌধুরানীর মতো ঐতিহাসিক চরিত্রে অভিনয় যে কোনো অভিনেত্রীর জন্যই চ্যালেঞ্জিং। সেই চ্যালেঞ্জ শ্রাবন্তী নিতে পারবেন কিনা– তা নিয়ে অনেকেরই ছিল সংশয়। কারণ একটিই, রোমান্টিক ছবির গ্ল্যামার প্রধান নায়িকা হিসেবেই দর্শক মনোযোগ কেড়েছেন শ্রাবন্তী।
চরিত্র নিয়ে খুব একটা নিরীক্ষা করতে দেখা যায়নি তাঁকে। কিন্তু এই অভিনেত্রী মনে করেন, গ্ল্যামারের বাইরেও যে কোনো ধরনের চরিত্রে তিনি সাবলীল অভিনয় করে যেতে পারেন। এর প্রমাণ দিতেও যে কোনো সময় প্রস্তুত। আর এই আত্মবিশ্বাসী কথা শুনেই পরিচালক শুভ্রজিৎ ‘দেবী চৌধুরানী’ হিসেবে শ্রাবন্তীকে বেছে নেন।
অন্যদিকে অভিনেত্রী নিজেও এক রকম যুদ্ধে নেমেছেন ‘দেবী চৌধুরানী’ হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে। কয়েক দিনের ব্যবধানে মেদ ঝরিয়ে শরীরের ওজন কমিয়েছেন ১০ কেজি। উপন্যাসের পাতা উল্টে চরিত্রকে বুঝে নেওয়ার চেষ্টায়ও কমতি রাখেননি। ঘোড়সওয়ারির ভীতি কাটিয়ে দিনের পর দিন প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, ঘোড়ার পিঠে দীর্ঘ সময় কাটানোর সুবাদে বন্ধুত্বও গড়ে ওঠে দূরন্ত গতিতে ছুটে চলা এই প্রাণীর সঙ্গে। এর বাইরেও তলোয়ার থেকে শুরু করে বিভিন্ন অস্ত্র চালনায় পারদর্শী হয়ে উঠেছেন তিনি। সব রকম প্রশিক্ষণ শেষেই ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি ‘দেবী চৌধুরানী’ হতে প্রস্তুত।
চরিত্রের মধ্যে মিশে গিয়ে তা কীভাবে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে হয়– এরই এক নজির তুলে ধরেছেন শ্রাবন্তী; যা দেখে বিস্মিত নির্মাতা থেকে শুরু করে ছবির কলাকুলশীরাও। স্বীকার করেছেন, ‘দেবী চৌধুরানী’ চরিত্রটি শ্রাবন্তীর জন্যই উপযুক্ত।
নির্মাতা জানিয়েছেন, সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ। আগামী নভেম্বরে শুরু হবে ছবির শুটিং। এই ছবির গুরুত্বপূর্ণ আরেক চরিত্র ভবানী পাঠকের ভূমিকায় থাকছেন টালিউড সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।