১৫তে বিয়ে, চোখের সামনে মেয়ে হারান! মানুষের মনে রাজত্ব করতেন তিনি

প্রকাশিত: ১:০৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৯, ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক রিপোর্টঃ 

অভিনয় আর সৌন্দর্য দিয়ে ৭০ এর দশকে মানুষের মনে রাজত্ব করতেন। তার কান্নায় সিনেমা হলের দর্শরাও কাঁদত। তিনি হাসলে থিয়েটার করতালিতে ফেটে পড়ত। অনেক হিট ছবিতে কাজ করেছেন তিনি।সুন্দর মুখ ও সুন্দর হাসির সেই অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। ধর্মেন্দ্র, জিতেন্দ্র এবং বিনোদ খান্নার মতো বড় অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন।

খুব অল্প বয়সেই এই অভিনেত্রীর বিয়ে হয়। মৌসুমী মাত্র ১৫ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন, ১৮ বছর বয়সে তার প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। এর পরই তিনি চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন। তিনি দেবানন্দের বড় ভক্ত ছিলেন। আজও তিনি দেবানন্দের প্রতি মুগ্ধ।মৌসুমী ৭০-৮০ দশকের সুপারস্টার বিনোদ খান্নার জন্য পাগল ছিলেন। কপিল শর্মার শো-তে কপিল তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, সেই যুগে সবচেয়ে সুদর্শন অভিনেতা কে?

মৌসুমী বলেছিলেন, বিনোদ খান্নার মতো সুদর্শন আর কেউ ছিলেন না, তার চেহারা আসলে একজন নায়কের মতো ছিল, তিনি ছিলেন সেই যুগের সবচেয়ে সুদর্শন অভিনেতা।অভিনয়ের পাশাপাশি মৌসুমী তার চনমনে এবং সাহসী স্বভাবের জন্যও পরিচিত। ‘ঘায়েল’ ছবির সেটে একটু দেরিতে আসায় ধর্মেন্দ্রর ছেলে সানি দেওলকে বকুনি দিয়েছিলেন।

মৌসুমী নিজের শর্তে কাজ করতেন। রেখার সঙ্গে ১৯৭৮ সালের ‘ভোলা-ভালা’ ছবিতে কাজ করেছিলেন এবং ছবির শিরোনামে মৌসুমীর আগে রেখার নাম ছিল। এতে তিনি এতটাই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন যে তিনি প্রকাশ্যে রেখাকে নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন।৭৬ বছরের সেই বর্ষীয়ান বাঙালি অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন খুবই কষ্টের। হেমন্ত কুমারের ছেলে জয়ন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।কম বয়সে বিয়ে হওয়ায় অন্তঃসত্ত্বাও হন তাড়াতাড়ি। মৌসুমী দুই কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। পায়েল চট্টোপাধ্যায় ও মেঘা চট্টোপাধ্যায়।

২০১৯ সালে পায়েলের মৃত্যু হয়। ছোট থেকে ডায়াবেটিসে ভুগতেন তিনি। ২০১৭ সাল থেকে কোমায় ছিলেন।সুজিত সরকারের ‘পিকু’ ছবিতে দীপিকা পাড়ুকোনের মাসির চরিত্রে অভিনয় করে ফের দর্শকদের মনজয় করেছিলেন মৌসুমী। কিন্তু তার পরেই মেয়ের মৃত্যু। এর পর থেকে তাকে আর তেমন পর্দায় দেখা যায়নি।