ডেস্ক রিপোর্ট :
দেশের আলোচিত অভিনেতা জায়েদ খান সম্প্রতি মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশি কমিউনিটির একটি বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরের ক্র্যাফট কমপ্লেক্সে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কবলে পড়েন জায়েদ খান।
সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, কুয়ালালামপুরে দর্শক যেন কোনোভাবেই কাছে ভিড়তে না পারে, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাতে না পারে তাই জায়েদ খানের জন্য ১৬ জন বডিগার্ড নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু তারাও শেষ পর্যন্ত জায়েদ খানকে দর্শকদের কাছ থেকে রক্ষা করতে পারেনি।
দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরের ক্র্যাফট কমপ্লেক্সে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে এমনটা ঘটে বলে জানালন অনুষ্ঠানের আয়োজক আয়শা আহমেদ।
মালয়েশিয়া থেকে রবিবার দুপুরে তিনি বলেন, আমরা মালয়েশিয়ায় বিজয় উৎসব আয়োজন করেছিলাম। এখানে আমরা তার জন্য ৪ জন পুলিশ ও ৪ জন সিভিলকে দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োজিত করেছিলাম। কিন্তু জায়েদ খান আসার আগে থেকেই এখানে নানা ধরনের স্লোগান শুরু করে বাংলাদেশি দর্শকেরা।
তিনি বলেন, পরে আমরা আর ৮ জন দেহরক্ষী নিয়োগ দেই। দর্শকদের এতো চাপ তারা জায়েদ খানকে একবার কাছ থেকে দেখবে ছবি এসব করতে গিয়ে ১৬ জন দেহরক্ষীও তাকে আর রক্ষা করতে পারেনি। যদিও এমন ঘটনা ঘটেছে। জায়েদ ভাইয়ের কাছে আমরা দুঃখও প্রকাশ করেছি। তবে ভাগ্য ভালো কোনো অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটেনি।
এ সম্পর্কে জায়েদ খান বলেন, এখানে দর্শকেরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল। তাদের চাপে একটু সাফোকেটেড হয়ে পড়েছিলাম। ১৬ জন বডিগার্ড ছিল কিন্তু ওই ভিড়ের মধ্যে দেখি তারা হাওয়া, আর আমি ভিড়ের মাঝখানে চাপের মধ্যে। পরে আমাকে গ্রিনরুমে ঢুকিয়ে কোনোরকম রক্ষা করা হয়।
কিন্তু এসবকে ভালোবাসা হিসেবে নিয়েছি। সবচেয়ে বড় বিষয় আমি অভিভূত হয়েছি এখানকার মেয়েদের আগ্রহ দেখে। আমি নাচার সময় তারা মঞ্চে ফ্লাইং কিস ছুঁড়ে দিয়েছিল। আমিও পাল্টা জবাব দিয়েছি।