১৭৯ যাত্রীর প্রাণহানি, মাথা নুইয়ে ক্ষমা চাইলেন জেজু এয়ারের সিইও
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
ডেস্ক রিপোর্ট:
দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ১৭৯ যাত্রীর প্রাণহানির ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন দেশটির বেসরকারি বিমান সংস্থা জেজু এয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও অন্যান্যরা। রোববার সিউলে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের পাশে নিয়ে মাথা অবনত করে ক্ষমা প্রার্থনা করতে দেখা যায় সিইও কিম ই-বে। থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় উদ্দেশে ১৮১ যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল জেজু এয়ারের ফ্লাইট ৭সি২২১৬। জেজু এয়ারের এই উড়োজাহাজে ১৭৫ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু ছিলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে উড়োজাহাজটি।
স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করছে। রানওয়েতে প্রবল গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে দেখা যায় উড়োজাহাজটিকে। কিন্তু এ সময় উড়োজাহাজটির কোনও ল্যান্ডিং গিয়ার দেখা যাচ্ছিল না।কিছুক্ষণ ছুটে যাওয়ার পর রানওয়ের শেষ প্রান্তের একটি প্রাচীরে গিয়ে প্রচণ্ড গতিতে আঘাত হানে। এতে উড়োজাহাজের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়ার পাশাপাশি আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলে কালো ধোঁয়ার বিশাল কুণ্ডলী আকাশে উড়তে দেখা যায়। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত মাত্র দুই যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ বলেছে, অবতরণের সময় পাখির আঘাতের কারণে উড়োজাহাজটির ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটি দেখা দিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে জেজু এয়ার বলেছে, এই দুর্ঘটনায় হতাহতদের জন্য জেজু এয়ারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা করা হবে। উদ্বেগজনক এই দুর্ঘটনার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।
আর সিউলে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে জেজু এয়ারের সিইও কিম ই-বে বলেছেন, দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি। উড়োজাহাজটির দুর্ঘটনার কোনও রেকর্ড নেই। এছাড়া উড়োজাহাজে যান্ত্রিক ত্রুটির প্রাথমিক কোনও লক্ষণও ছিল না।