স্পোর্টস ডেস্ক রিপোর্টঃ
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে টেনিস বেশ জনপ্রিয় খেলা হলেও বাংলাদেশে অনগ্রসর খেলার তালিকায় অন্যতম। খেলার প্রচার-প্রসার সেভাবে না হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে রেফারিংও অগ্রসর হয়নি। তাই ১৮ বছর বয়সেই মাসফিয়া আফরিনের আইটিএফ হোয়াইট ব্যাজ রেফারির স্বীকৃতিই বাংলাদেশ টেনিসের ইতিহাস।মাসফিয়ার আগে ২০০০ সালে হোয়াইট ব্যাজের স্বীকৃতি পেয়েছিলেন বাংলাদেশের সারোয়ার মোস্তফা জয়। তিনি পেয়েছিলেন চেয়ার আম্পায়ার হিসেবে। রেফারি হিসেবে মাসফিয়াই প্রথম এই স্বীকৃতি পেয়েছেন। টেনিস ম্যাচে একজন রেফারির অধীনে কয়েকজন চেয়ার আম্পায়ার থাকেন।
হোয়াইট ব্যাজ আন্তর্জাতিক টেনিস রেফারিংয়ে অনেকটা প্রাথমিক ধাপ। এরপর রয়েছে সিলভার ও গোল্ডেন ব্যাজ। মূলত গোল্ড ব্যাজধারীরা উইম্বলডন, ইউএস ওপেন অলিম্পিকের মতো বড় ইভেন্টের খেলা পরিচালনা করেন। সিলভার ব্যাজধারীরা থাকেন ডেভিস কাপ এবং এই জাতীয় খেলায়। মাসফিয়া আফরিন হোয়াইট ব্যাজ স্বীকৃতির ফলে আইটিএফ অনুমোদিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতা পরিচালনা করতে পারবেন মাসফিয়া।
আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশনের অনুমোদনক্রমে ও মালয়েশিয়া টেনিস এসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনায় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ২৪-২৮ এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত ‘আইটিএফ হোয়াইট ব্যাজ স্কুল’ অনুষ্ঠিত হয়। হোয়াইট ব্যাজ স্কুলে বাংলাদেশের মাসফিয়া আফরিন অংশগ্রহণ করেন এবং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন কৃতিত্বের সঙ্গে। অফিসিয়েটিং স্কুলে বাংলাদেশের মাসফিয়া আফরিন ছাড়াও মালয়েশিয়া, ইরাক, ইরান, লেবানন, উজবেকিস্তান, ভারত, জাপান, ভিয়েতনাম, কাজাখস্তান, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও চায়না হতে ১৬ জন অফিসিয়াল অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশ থেকে তিনজন এই কোর্সে অংশ নিতে চাইলেও আইটিএফ মাসফিয়াকে নির্বাচিত করেছে।
হোয়াইট ব্যাজ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পূর্বে মাসফিয়া আফরিন আইটিএফ এর ‘প্রজেক্ট : অফিসিয়েটিং পাথওয়ে’—এর আওতায় অফিসিয়েটিং এর বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ভারতের কলকাতা ও দিল্লিতে দুটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সহকারী রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়েছিলেন। সেই পারফরম্যান্স বিবেচনায় তিনি যাওয়ার সুযোগ পান মালয়েশিয়াতেও। মাসফিয়ার মালয়েশিয়ায় যাতায়াতের ব্যয় দিয়েছেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সেলিম এবং কোর্সের নিবন্ধন ফি ও অন্যান্য সামগ্রিক ব্যয় দিয়েছেন টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি ও নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।