২০২৪-এ অ্যালেক্সাকে সবচেয়ে বেশি কী প্রশ্ন করেছেন ব্যবহারকারীরা?

প্রকাশিত: ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৫, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:

সব প্রশ্নের উত্তর মিলে অ্যালেক্সায়। অদ্ভুত ও মজাদার প্রশ্ন করতেও পিছিয়ে নেই ব্যবহারকারীরা। কোনো প্রশ্নেই বিরক্ত হয় না অ্যালেক্সা। হাসি মুখে সবার প্রশ্নের উত্তর দেয়।

২০২৪ সালে অ্যালেক্সার কাছে সবচেয়ে বেশি কী জানতে চেয়েছেন ব্যবহারকারীরা? মঙ্গলবার অ্যামাজনের প্রকাশিত রিপোর্টে উঠে এসেছে সেই চিত্র। তালিকায় ক্রিকেট, বলিউড, রান্না, সেলিব্রিটি জীবনের তথ্য সবই স্থান পেয়েছে।

অ্যামাজনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্যবহারকারীরা এই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টে নিজেদের প্রয়োজন ও কৌতূহল মেটানোর জন্য এতটাই নির্ভরশীল যে অ্যালেক্সা এখন অনেকের ঘরের সদস্য হয়ে উঠেছে।

অ্যামাজনের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ক্রিকেট নিয়ে আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ম্যাচের সময়সূচি ও লাইভ স্কোর জানতে চেয়ে অ্যালেক্সাকে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন করা হয়েছে। বিরাট কোহলি, মহেন্দ্র সিং ধোনি, এবং রোহিত শর্মার মতো ক্রিকেটারদের নিয়ে কিছু নির্দিষ্ট তথ্য জানতে চাওয়ার প্রবণতাও লক্ষণীয় ছিল।

কিছু ব্যবহারকারী অ্যালেক্সার কাছে ক্রিকেট খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত জীবনের তথ্য, যেমন—তাদের প্রিয় খাবার বা শখ নিয়েও জানতে চেয়েছেন। পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি এবং আইপিএল নিয়ে আপডেট পেতে অ্যালেক্সা ব্যবহার করেছেন প্রচুর মানুষ।

ক্রিকেটের পাশাপাশি বলিউড তারকা নিয়ে জিজ্ঞাসার সংখ্যাও ছিল অনেক। ব্যবহারকারীরা জানতে চেয়েছেন কৃতী স্যাননের উচ্চতা, ওজন, এমনকি তার প্রিয় সিনেমা কী! মিস্টারবিস্টের সম্পত্তির পরিমাণ নিয়েও ব্যাপক কৌতূহল ছিল। অ্যালেক্সা এসব প্রশ্নেরও যথাযথ উত্তর দিয়েছে।

কোনো বিশেষ রান্নার রেসিপি জানতে অ্যালেক্সাকে ব্যবহার করেছেন গৃহিণী থেকে শুরু করে শেফরাও। বাটার চিকেন, বিরিয়ানি, পাস্তা, এবং অন্যান্য জনপ্রিয় খাবারের রেসিপি জানার জন্য অ্যালেক্সাকে অগণিতবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছে।

অ্যামাজনের রিপোর্টে আরও দেখা যায়, চলতি বছরে অ্যালেক্সার মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি শোনা হয়েছে বলিউড গান এবং ভক্তিমূলক সংগীত। এর মধ্যে ‘জামাল কুদু’, ‘শ্রী হনুমান চালিসা’, এবং ‘গায়ত্রী মন্ত্র’ উল্লেখযোগ্য।

অ্যামাজনের এই ছোট্ট যন্ত্রটি এখন সবার পছন্দের ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্ট। বয়স নির্বিশেষে সবাই অ্যালেক্সা ব্যবহার করতে পারেন। সহজ ইন্টারফেস, মজার উত্তর, এবং অবাধ তথ্যপ্রবাহের কারণে এটি গৃহস্থ জীবনের অপরিহার্য অংশে পরিণত হয়েছে।