ডেস্ক রিপোর্ট:
২০২৪ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ন্যুনতম খরচ হবে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা। তবে এবার সরকার একটি বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। তাতে খরচ হবে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা।
বহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক আগামী বছরের হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বছর বাংলাদেশের কোটা ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থায় যাবেন ১০ হাজার ১৯৮ জন। কোটার বাকি অংশ ১ লাখ ১৭ হাজার জন বেসরকারি খাতের মাধ্যমে যাবেন।
আশা করা হচ্ছে আগামী বছরের ২৪ জুন বা তার একদিন আগে-পরে হজ অনুষ্ঠিত হবে। সে অনুযায়ী আগামী বছরের ১ মার্চ থেকে হজ ভিসা ইস্যু শুরু হবে। আর হজ ফ্লাইট শুরু হবে ৯ মে থেকে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাধারণ প্যাকেজে গত হজ প্যাকেজের তুলনায় ৯২ হাজার ৪৫০ টাকা কম খরচ ধরা হয়েছে। বিমান ভাড়া কমেছে ২৯৯৭ টাকা। আগামী বছরের হজের বিমান ভাড়া ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মু আ. হামিদ জমাদ্দার বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে সৌদি আরবকে জানাতে হবে বাংলাদেশ থেকে কতজন হজে যাবেন। সেজন্য আগে ভাগে প্যাকেজ ঘোষণা করা হলো। গত বছর বিশেষ প্যাকেজ ছিল না। হাজিদের চাহিদা বিবেচনা করে এবার বিশেষ সুবিধা সম্বলিত প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গতবছর বিমানে যে সমস্যা হয়েছে এবার তা হবে না। বেসরকারি খাত সরকারি প্যাকেজকে ভিত্তি ধরে প্যাকেজ করবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি বলেন, হজের খরচে সরকারি বেসরকারি খাতের মধ্যে পার্থক্য বিশেষ হবে না। সামঞ্জস্য রেখে অনান্য আনুষঙ্গিক সুবিধা বিবেচনা করে বেসরকারি খাত কিছুদিনের মধ্যে প্যাকেজ ঘোষণা করবে।