২০২৯ সালের পর ক্ষমতায় যেতে পারবে কি না ভাবতে বলেছেন মাহবুবউল আলম হানিফ
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
মাগুরা প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ২০১২ সালে যখন মানবতাবিরোধী বিচার শুরু হয় তখন জামায়াতের সঙ্গে মিলে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করেছিল বিএনপি। তবে তাদের কোনো আন্দোলনই সফল হয়নি। ২০২৯ সালের পর ক্ষমতায় যেতে পারবে কি না তা নিয়ে বিএনপিকে ভাবতে বলেছেন তিনি।
আজ শনিবার (১০ জুন) মাগুরা ওয়াপদা মোড়-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়ক ও লাঙ্গলবাধ টু পাংশা ব্রিজের কাজ পরিদর্শন উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জনসভার আয়োজন করে বগুড়ার শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ।
হানিফ বলেন, ২০১২ সালে যখন যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু হয় তখন বিএনপি এবং জামায়াত মিলে সরকার পতনের আন্দোলনে শুরু করেছিল। তখন খালেদা জিয়া বলেছিলেন, সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন ঘোষিত হল। সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করেছিলেন, কবে থেকে চূড়ান্ত আন্দোলন হবে। জবাবে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ঈদের পরে আন্দোলন চূড়ান্ত হবে। আজ ২০২৩ সাল। বহু ঈদ চলে গেছে। বহু আন্দোলন দেখেছে। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার এখনো আছে।
বিএনপি ২০২৯ সালের পর ক্ষমতায় যেতে পারবে কি না তা নিয়ে ভাবতে বলেছেন আওয়ামী লীগের এ নেতা। তিনি বলেন, ‘২০১২-১৩ সালে বলেছিলাম, ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন। এতো তাড়াতাড়ি দেইখেন না। ২০২৯ সালের পরে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে কি-না সেটা নিয়ে স্বপ্ন দেখেন, ভাবেন। ২০২৯ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে।’
বিএনপির প্রতি প্রশ্ন তুলে হানিফ আরও বলেন, ‘আপনারা কার নেতৃত্বে ক্ষমতায় যেতে চান। আপনাদের নেত্রী খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে কারাগারে আছেন। আর আরেকজন হাওয়া ভবন বানিয়ে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। দুর্নীতিবাজ, দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। কাকে নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন? দেশের মানুষের কী আর কাজ নেই যে, একজন সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজকে ক্ষমতায় বসাবে।
আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইদানিং কিছু কিছু বিএনপি নেতা ও ছোট ছোট কয়েকটি দল লাফালাফি করে বক্তব্য দিচ্ছে। মনে হচ্ছে যেন, বিদেশি প্রভুরা তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে। এ বাংলার গ্রাম-গঞ্জের মানুষ শেখ হাসিনার পক্ষে, আওয়ামী লীগের পক্ষে। দেশের মানুষ উন্নয়ন, শান্তি চায়। কোনো দুর্বৃত্তের পক্ষে থাকতে পারে না।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে হানিফ বলেন, ‘লাফালাফি বন্ধ করে নির্বাচনে আসুন। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করবে। সেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনপ্রিয়তা যাচাই করুন।’
জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাই, রাজবাড়ী -২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিম, কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ প্রমুখ।
এছাড়া জনসভায় মাগুরা, ঝিনাইদহ ও রাজবাড়ীর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।