নিজস্ব প্রতিবেদক:
দু’দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। মঙ্গলবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ অনুবিভাগের মহাপরিচালক তৌফিক হাসান।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার অফিস জানিয়েছে, ভলকার তুর্ক সফরকালে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করবেন।
সফরকালে হাইকমিশনার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, সেনাপ্রধান ও বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের প্রধানদের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে।
তুর্ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও একটি ভাষণ দেবেন, যেখানে তিনি সাম্প্রতিক প্রতিবাদ আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও বাংলাদেশে কূটনৈতিক মিশনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
হাইকমিশনার বুধবার বিকেলে মিশন শেষে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করবেন।
বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন একটি কার্যালয় স্থাপন করতে চায় জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, সেপ্টেম্বরে ভলকার তুর্কের ঢাকায় আসার কথা ছিল। কিন্তু সময় জটিলতার কারণে তা পিছিয়ে এ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইনে প্রধান উপদেষ্টা ও ভলকার তুর্কের সাক্ষাৎ হয়। সেই বৈঠকে কার্যালয় স্থাপনের বিষয়টি উঠে আসে। এ সফরে অন্য ইস্যুর পাশাপাশি কার্যালয় স্থাপনের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।
বিশ্বে মাত্র ১৯টি দেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের কার্যালয় রয়েছে। এ কার্যালয়গুলো থেকে প্রধানত মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ, সুরক্ষা, গবেষণা, সরকার, জাতীয় কর্তৃপক্ষ, নাগরিক সমাজ, ভুক্তভোগী ও অন্য প্রাসঙ্গিক সহযোগীদের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রদান, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং জনসাধারণের প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়। যেসব দেশে এ ধরনের কার্যালয় থাকে, সেখানে অবারিত প্রবেশাধিকার থাকে।