ক্রীড়া ডেস্ক :
সময়ের ব্যবধান মাত্র ৩৬ ঘণ্টা। দুটি জায়গার দূরত্ব ১৪ হাজার কিলোমিটারের বেশি। খেলতে নেমে পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান জন্ম দিলেন বিরল ঘটনার। দুটি ভিন্ন দলের হয়ে ব্যাট হাতে ছড়ালেন আলো। দুটি ভিন্ন মহাদেশে দুটি ভিন্ন সংস্করণের ক্রিকেটে অপরাজিত ফিফটি করলেন তিনি।
গত ২৭ জুলাই কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জাতীয় দল পাকিস্তানের জার্সিতে টেস্ট খেলেন রিজওয়ান। এশিয়া ছেড়ে উত্তর আমেরিকা মহাদেশে পাড়ি জমিয়ে পরদিনই (শুক্রবার) ফের ২২ গজে নেমে পড়েন তিনি। এবার ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক আসর কানাডা গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে ভ্যাঙ্কুভার নাইটসের হয়ে ব্রাম্পটন উলভসকে মোকাবিলা করেন ৩১ বছর বয়সী তারকা।
কলম্বোতে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের চতুর্থ দিনে পাকিস্তানের একমাত্র ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি করেন রিজওয়ান। ঠিক ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। আট নম্বরে নেমে ৬৭ বল মোকাবিলায় মারেন ছয়টি চার ও একটি ছক্কা। তার ফিফটি ছোঁয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইনিংস ঘোষণা করে দেন সফরকারী অধিনায়ক বাবর আজম। এরপর বাঁহাতি স্পিনার নোমান আলীর অসাধারণ নৈপুণ্যে সেদিনই ম্যাচটি ইনিংস ও ২২২ রানের বিশাল ব্যবধান জিতে নেয় পাকিস্তান।
অথচ ওই টেস্টে পাকিস্তানের একাদশেই ছিলেন না রিজওয়ান। কনকাশন বদলি হিসেবে খেলার সুযোগ মেলে তার। ম্যাচের তৃতীয় দিন সরফরাজ আহমেদ মাথায় বল লেগে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়লে রিজওয়ানের কপাল খোলে। সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগান তিনি। সাদা পোশাকে ১২ ইনিংস পর পান হাফসেঞ্চুরির দেখা।
শ্রীলঙ্কাকে তাদের মাটিতেই ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করার পর রিজওয়ান চড়েন কানাডাগামী বিমানে। সেখানে পৌঁছে ভ্যাঙ্কুভারের একাদশে জায়গা করে নেন তিনি। জাতীয় দলের দায়িত্ব পালন করতে ভ্যাঙ্কুভারের আগের তিন ম্যাচে অনুপস্থিত থাকা রিজওয়ান শুরুতেই মেলে ধরেন নিজেকে। ব্রাম্পটনে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। ওপেনিংয়ে নেমে মুখোমুখি হওয়া ৪২ বলে তিনি মারেন দুটি চার ও তিনটি ছক্কা।
রিজওয়ানের নৈপুণ্যের দিনে ভ্যাঙ্কুভার পেয়েছে আসরে দ্বিতীয় জয়ের দেখা। ব্রাম্পটনকে ১২৯ রানে আটকে ফেলে তারা জিতেছে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। রিজওয়ানের পাশাপাশি ফিফটির স্বাদ নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার করবিন বসচ। তিনি করেন ৪১ বলে অপরাজিত ৫০ রান। ম্যাচসেরার পুরস্কার অবশ্য গেছে ভ্যাঙ্কুভারের রুবেন ট্রাম্পলম্যানের ঝুলিতে। নামিবিয়ার বাঁহাতি পেসার ৪ ওভারে ২৫ রানে নেন ৪ উইকেট।