৪১ হাজার মেট্রিক টন কয়লা এসেছে পায়রায়, ফের চালু হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন

প্রকাশিত: ৫:২০ অপরাহ্ণ, জুন ২৩, ২০২৩

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

ইন্দোনেশিয়া থেকে ৪১ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে নোঙর করেছে মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আথেনা।

আজ শুক্রবার (২৩ জুন) দুপুরে পায়রা বন্দরের ট্র্যাফিক বিভাগের উপপরিচালক আজিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহ আব্দুল হাসিব জানান, কয়লার অভাবে ৫ জুন সোমবার বেলা ১২টার দিকে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে ২৫ মে বন্ধ হয় এই কেন্দ্রের আরও একটি ইউনিট।

পূর্ণ ক্ষমতায় এটি চালাতে ১১ থেকে ১২ হাজার টন কয়লা লাগে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে ১ হাজার ২৪৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যায়, যা দেশের গড় উৎপাদনের প্রায় ১০ শতাংশ। প্রায় ৩৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বকেয়া থাকায় চীনের সিএমসি কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। পরে সরকারের হস্তক্ষেপে ধাপে ধাপে ১০০ মিলিয়ন ডলার ছাড় করা হয়। তা দিয়ে আগামী ৯ আগস্ট পর্যন্ত ১৭টি জাহাজের এলসি খোলা হয়। এতে প্রায় ৭ লাখ ৩০ হাজার টন কয়লা আনা যাবে। নতুন করে আরও কয়লা আনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

বিদ্যুৎ বিভাগের একটি সূত্র বলছে, ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রায় ৩৬ হাজার টনের প্রথম চালান বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সমুদ্র অঞ্চলে প্রবেশ করেছে। জাহাজ থেকে কয়লা খালাস করে কেন্দ্রে পৌঁছানো ও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে সর্বোচ্চ ৫২ ঘণ্টা সময় লাগবে। আগামী রবিবার (২৫ জুন) পায়রায় বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।

প্রথম চালানের কয়লা দিয়ে আপাতত একটি ইউনিটে দৈনিক ৫২৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। ২ জুলাই কেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিট চালু হলে জাতীয় গ্রিডে মোট ৭৪৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে।

বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (বিসিপিসি) পটুয়াখালীর পায়রায় এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে। কেন্দ্রটির মালিকানায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) সমান অংশীদারিত্ব রয়েছে।

পায়রা সমুদ্রবন্দরের উপপরিচালক আজিজুর রহমান আরও জানান, আগামী ১ জুলাই কয়লা নিয়ে আরও একটি এবং ঈদের পর ধাপে ধাপে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আরও ১০টির বেশি জাহাজ আসার কথা রয়েছে।