স্পোর্টস ডেস্ক রিপোর্টঃ
ট্রাভিস হেডের সেঞ্চুরিতে আইপিএলে নিজেদের গড়া সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভাঙে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। জবাবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুও কম যায়নি। দীনেশ কার্তিকের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে রানের পাহাড়ে চড়েছে তারাও। দুই দল মিলে গড়েছে বেশ কয়েকটি রেকর্ড। শেষ পর্যন্ত ৫৪৯ রানের ম্যাচটিতে শেষ হাসিটা হেসেছে হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরুকে হারিয়েছে ২৫ রানে।
বেঙ্গালুরু ঘরের মাঠ চিন্বেস্বমে স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে পাঠায় হায়দরাবাদকে। সুযোগ নিয়ে ১০৮ রানের ওপেনিং জুটি গড়ে হায়দরাবাদ। অভিষেক শর্মা ২২ বলে ৩৪ রান করে ফিরে যান। দুটি করে চার ও ছক্কা মারেন তিনি।ভারতকে বিশ্বকাপের ফাইনালে হারানো অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ট্রাভিস হেড খেলেন ১০২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। তার ইনিংস সাজানো ছিল ৪১ বলে। যাতে আটটি ছক্কা ও নয়টি চারের শট ছিল। উড়ন্ত শুরু পেয়ে যাওয়া হায়দরাবাদ এই ম্যাচে তিনে নামায় ক্লাসেনকে। তিনি ৩১ বলে ৬৭ রান করেন। তার ব্যাট থেকে চার আসে মাত্র দুটি এবং ছক্কা হাঁকান সাতটি।
এছাড়া এইডেন মার্করাম শেষে ১৭ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলেন। দুটি করে চার ও ছক্কা মারেন তিনি। সামাদের ইনিংস ছিল আরও বিধ্বংসী। তিনি স্লগে ১০ বল খেলে ৩৭ রান যোগ করেন। যাতে চারটি চার ও তিনটি ছক্কার শট ছিল।বেঙ্গালুরুর রিচ টপলে ৪ ওভারে ৬৮ রান খেয়েছেন। নিয়েছেন এক উইকেট। লকি ফার্গুসন ৪ ওভারে ৫২ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন। বিজয়কুমার বশাক ৪ ওভারে দিয়েছেন ৬৮ রান। এছাড়া ইয়াশ দয়াল ৪ ওভারে ৫১ রান দিয়েছেন। এই ম্যাচে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৪ ছক্কার রেকর্ড করেছে হায়দরাবাদ।
সানরাইজার্সের ২৮৭ রানে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগে এশিয়ান গেমসে ৩ উইকেটে ৩১৪ রান তুলেছিল নেপাল। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে হায়দরাবাদের রানই সর্বোচ্চ।রান তাড়া করতে নেমে বেঙ্গালুরুও কম যায়নি। পাল্টা লড়াইয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৬ ওভারেই ৮০ করেন বিরাট কোহলি ও অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। ২০ বলে ৪২ রান করে আউট হয়ে যান কোহলি। এরপর বিধ্বংসী ব্যাটিং করে ফিফটি হাঁকান ডু প্লেসি। ২৮ বলে ৬২ রানে গিয়ে থামেন তিনি। পরের তিন ব্যাটারের কাছ থেকে বলার মতো কোনো রান আসলেও শেষ দিকে ঝড় তোলেন দীনেশ কার্তিক। মারমুখী ব্যাটিংয়ে মাত্র ৩৫ বলে ৮২ রান করেন কার্তিক। এছাড়া ১৪ বলে ২৫ রান করেন অনুশ রাওয়াত ও ১১ বলে ১৯ রান করেন মহিপাল লমরোর। তবে শেষ পর্যন্ত হায়দরাবাদের বিশাল সংগ্রহের কাছে ২৫ রানে হারতেই হয় আরসসিবিকে।
দুই দল মিলে তুলেছে ৫৪৯ রান, যা আইপিএল তো বটেই, স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতেই সর্বোচ্চ। তাছাড়া আইপিএলে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ছক্কা (৩৮টি) ও চারের (৪৩) রেকর্ডও হয়েছে আজ। চার ও ছক্কা হয়েছে মোট ৮১টি। এর আগে ২০২৩ সালে সেঞ্চুরিয়নে সমান বাউন্ডারি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও উইন্ডিজ ম্যাচে।