৫৫৯টি অবৈধ ইটভাটার মধ্যে ১৫৯ বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
পাঁচ জেলার ৫৫৯টি অবৈধ ইটভাটার মধ্যে ১৫৯টি ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে এসব ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই আদালতের মাধ্যমে ইটভাটাগুলোকে জরিমানা করা হয়েছে ৪ কোটি ৯২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য এসেছে।
বন্ধ করা অবৈধ ইটভাটার মধ্যে ঢাকা জেলায় ৩৬টি, গাজীপুর জেলায় ৪৬টি, নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৪৮টি, মুন্সিগঞ্জ জেলায় ৯টি ও মানিকগঞ্জ জেলার ২০টি ইটভাটা রয়েছে। এর আগে গত ২৬ নভেম্বর হাইকোর্ট রাজধানীর বায়ুদূষণ কমাতে ঢাকা ও এর পাশের চারটি জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে অবৈধ সব ইটভাটা ১৫ দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই নির্দেশ অনুসারে পরিবেশসচিবের পক্ষ থেকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য এসেছে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
মনজিল মোরসেদ বলেন, বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ বিষয়টি শুনানির জন্য ১৮ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।
আবেদনকারীর এই আইনজীবী জানান, আদালতের নির্দেশ অনুসারে গত ১০ ডিসেম্বর পরিবেশ সচিবকে আহ্বায়ক করে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে ১৬ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির করা একটি প্রস্তাবও প্রতিবেদনে যুক্ত করা হয়েছে।
গত ২৬ জানুয়ারি রাজধানীর বায়ুদূষণ কমাতে ঢাকা ও এর পাশের চারটি জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে অবৈধ সব ইটভাটা ১৫ দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। রাজধানীর বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশ দেন। পাশাপাশি বায়ুদূষণ ও দূষণরোধে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির মাধ্যমে অভিন্ন একটি নীতিমালাও করতে বলা হয়েছে।
বায়ুদূষণের উৎসসংক্রান্ত পরিবেশ অধিদপ্তরের গত মার্চের প্রতিবেদন বলছে, সারা দেশে গত পাঁচ বছরে ইটভাটার সংখ্যা প্রায় ৫৯ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৩ সালে সারা দেশে ৪ হাজার ৯৫৯টি ইটভাটা ছিল। আর ২০১৮ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৭ হাজার ৯০২ টি। এর মধ্যে ঢাকা ও এর পাশের গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ জেলায় মোট ১ হাজার ৩০২টি ইটভাটা আছে। শুধু ঢাকা জেলাতেই ইটভাটা আছে ৪৮৭টি। ঢাকার বায়ুদূষণের ৫৮ শতাংশের উৎস ইটভাটা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। সূত্র- প্রথম আলো।